জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

মায়ের গলা টিপে ধরেছিল এক ছেলে, এবার বাবাকে ধাক্কা মারল আরেক ছেলে! ‘এগুলো কি পরিবার নিয়ে দেখার কন্টেন্ট?’ ক্ষেপে গেল দর্শক

জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় যে সমস্ত ধারাবাহিকগুলি এই মুহূর্তে চলছে তার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো রাঙা বউ। টিআরপি তালিকার দিকে নজর রাখলেই বোঝা যায় বেশ জনপ্রিয় এই ধারাবাহিকটি। শুরুর পর থেকেই দর্শকদের মনে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নিয়েছে এই ধারাবাহিকটি।

আদ্যপ্রান্ত পারিবারিক কূটকাচালি দেখানো হয়ে চলেছে এই ধারাবাহিকে। ভাইয়ে ভাইয়ে সংঘাত, জায়েদের কূটনামি এই ধারাবাহিকের মূল উপজীব্য। যদিও এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে দর্শকদের মনে পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছে রাঙা বউ পাখি আর কুশ। এই ধারাবাহিকের হাত ধরে আবারও টেলিভিশনের পর্দায় ফিরেছেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস (Shruti Das) ও অভিনেতা গৌরব রায় চৌধুরী (Gourab Roy Choudhury)

জুটি হিসেবে এটা শ্রুতি ও গৌরবের দ্বিতীয় ধারাবাহিক। এর আগে অবশ্য তাঁদের দেখা গিয়েছিল জি বাংলার ত্রিনয়নী ধারাবাহিকে। দীর্ঘদিন কাজ পাচ্ছিলেন না শ্রুতি। তারপর অবশেষে একদা প্রেমিক অধুনা স্বামী স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের পরিচালনায় বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় আবারও ফেরেন তিনি। এবং আবারও ফিরেই সাফল্যের মুখ দেখেন।

সম্পত্তি নিয়ে শত্রুতা, বিবাদ, অশান্তি ঠিক কতদূর পৌঁছাতে পারে, সেই চিত্রই ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে রাঙা ব‌উ ধারাবাহিকে। এই ধারাবাহিক দেখানো হচ্ছে নায়ক কুশের মাঝেমধ্যেই স্মৃতিভ্রম হয়। আর তার সেই অসুস্থতার ফায়দা তোলে তার জ্যাঠাতুতো দাদারা। কিন্তু পাখি স্ত্রী হয়ে কুশের জীবনে আসার পর থেকেই সমস্ত অন্যায় অবিচারের প্রতিবাদ করেছে সে। বিভিন্ন সময়ে অপরাধীদের মুখোশ সবার সামনে টেনে নিয়ে এসেছে।

কুশের জ্যাঠাতুতো দাদারা সম্পত্তির জন্য এতটাই লোভী যে নিজেদের বাড়িতে ডাকাতি করতেও পিছপা হয় না। এমনকী তারা নিজের মায়ের গলা টিপে ধরে, বাবাকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তাদেরকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে দূর করে দিতেও তারা দুবার ভাবেনা। ধারাবাহিকের পর্দায় বাবা-মায়ের প্রতি ছেলেদের এহেনও আচরণ সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেবে বলে মনে করছেন নেটিজেনরা। যে ধারাবাহিকে মগ্ন থাকে বঙ্গদর্শককূল সেখানে এইসব দেখানো হলে খারাপ বার্তা পৌঁছাবে সমাজে বলে দাবি তাদের।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।