বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় এই মুহূর্তে দাপট দেখানো ধারাবাহিকের নাম হল অনুরাগের ছোঁয়া। বলা ভালো এই ধারাবাহিকটি এই মুহূর্তে বাঙালি দর্শকদের কাছে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধারাবাহিকে পরিণত হয়েছে। আর যার ফলে প্রত্যেক সপ্তাহের টিআরপি তালিকায় এই ধারাবাহিকটি শীর্ষ স্থান দখল করছে। এই ধারাবাহিকটিকে হারানো কার্যত দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে দর্শকদের কাছে।
নায়ক-নায়িকা সূর্য-দীপা এবং তাদের ছোট ছোট দুই কন্যা সোনা-রূপাকে নিয়ে এই ধারাবাহিকের গল্প এগিয়ে চলেছে। সেইসঙ্গে রয়েছে একজন জবরদস্ত ভিলেন মিশকা। যে বিয়ে করতে চেয়েছিল সূর্যকে। কিন্তু তার সেই ইচ্ছেপূরণ হয়নি। সূর্য বিয়ে করে নেয় দীপাকে। আর তারপর থেকেই দীপার ওপর ক্ষোভ মিশকার। সে বিভিন্নভাবে সূর্যকে ভুল বুঝিয়ে দীপার থেকে দূরে করে দেয়।
সূর্য এবং দীপার মধ্যে এখন প্রচুর ব্যবধান। সূর্যর দীপাকে ক্রমাগত ভুল বোঝার পিছনে যে মানুষটা মূলত রয়েছে সেটা হলো মিশকা।আসলে মিশকা একটি জাল রিপোর্ট বানিয়ে সূর্যকে দিয়ে বলেছিল যে তার মধ্যে বাবা হওয়ার কোনও ক্ষমতা নেই। সে নাকি কোনদিনই বাবা হতে পারবেনা। আর সেই কারণবশতই সূর্যর ধারনা হয় রূপা এবং সোনা যদি দীপার সন্তান হয় তাহলে রূপার বাবা নয়। কারণ তার মধ্যে তো বাবা হওয়ার কোনও ক্ষমতাই নেই। তাহলে নিশ্চয়ই অন্য কোন পর পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কজনিত কারণে সোনা- রূপার জন্ম।
তা দীপার জীবনে এই পর পুরুষটা কে?
মিশকা সূর্যকে বুঝিয়েছে দীপার জীবনে এই পর পুরুষ হল কবীর। তার সঙ্গে দীপার অবৈধ সম্পর্কের কারণেই জন্ম সোনা-রূপার। যদিও দীপা এবং কবীরের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে ভাই বোনের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু মিশকা সূর্যর মনকে একেবারে বিষিয়ে দিয়েছে। সে বলেছে, আর তার কথায় বিশ্বাস করে সূর্য দীপাকে হিরহির করে টানতে টানতে কবিরের কাছে নিয়ে আসে। এবং কবীরকে জিজ্ঞাসা করে সে কেন দীপাকে এবং তার নিজের দুই সন্তান সোনা ও রূপাকে মেনে নিচ্ছে না?
লাবণ্য কী মিশকার সত্যি প্রকাশ করে দেবে?
এই প্রশ্নের জবাব দিতে বেরিয়ে আসে দীপার শাশুড়ি লাবণ্য সেনগুপ্ত। তিনি সূর্য, দীপা, কবীরের সামনে একটি অডিও শোনান। যেখানে মিশকা কবীরকে দীপাকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছিল। আর সেই সত্যিই প্রকাশ্যে চলে আসে। যা শুনে মিশকার ওপর রেগে যায় সূর্য। দীপা এবং কবীরকে অবিশ্বাস করার জন্য অনুতাপ করতে থাকে সে।