বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় এই মুহূর্তের অন্যতম জনপ্রিয় এবং বিতর্কবিদ্ধ ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা। প্রোমো দেখে মনে করা হয়েছিল এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের ভীষণ পছন্দের হয়ে উঠবে। কিন্তু তেমন কিছুই হয়নি। এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের কাছে ক্ষোভের অন্যতম কারণে পরিণত হয়েছে।
আসলে সদ্য বিবাহিত এক নারীর উপরে ক্রমাগত তার শশুর বাড়ির অত্যাচারের ঘটনা দেখতে দেখতে ক্লান্ত দর্শক। আর যা দর্শকদের কাছে অত্যন্ত বিরক্তিকরও মনে হয়েছে। এই ধারাবাহিকটি লিখেছেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সুপুত্র অর্ক গঙ্গোপাধ্যায়। আর শুরুর পর থেকেই বিতর্কের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এই ধারাবাহিকটি।
উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকে পাঁচজন প্রতিবেশী বন্ধুর মধ্যে ভালো বন্ধুত্বের গল্প দেখানো হবে এমনটা আশ্বাস নেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত বন্ধুত্বের গল্পের থেকে বেশি পারিবারিক কুটকাচালি গুরুত্ব পেয়েছে। এই ধারাবাহিকের নায়িকা শিমুলের যে বাড়িতে বিয়ে হয়েছে সেখানে রয়েছে এক অসভ্য, বেয়াদব দেওর। নির্বোধ, মা নেওটা বর আর এক মন ভালো পাগলী ননদ।
কেন দর্শক ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা দেখে?
এই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে শিমুলের শাশুড়ি তাদের ফুলশয্যার রাতে তাদের ঘরে ঢুকে পড়ে শিমুলকে সরিয়ে দিয়ে শিমুলের বরের পাশে ঘুমিয়ে পড়ে শরীর খারাপের অজুহাত দেখিয়ে। আর যা দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে যায় নেটিজেনরা। আর যা নিয়ে শুরু হয় তীব্র বিতর্ক। এরপর জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের দৃশ্য থেকে শুরু করে, শাশুড়ির শিমুলের গায়ে হাত তোলার দৃশ্য দেখে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল নেটিজেনরা।
উল্লেখ্য, শিমুলের শাশুড়ি তাকে পাড়া-প্রতিবেশী বন্ধুদের সঙ্গে মিশতে দেয় না। যদিও শিমুলের পাগলী ননদের সাহায্যের কারণে সে নিজের পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে মেশে। কিন্তু বাড়িতে চলে জোরদার অশান্তি। এই পরিস্থিতিতে ফের একবার সুচরিতা, বিপাশারা শিমুলের বাড়িতে এসে তাকে নাচের রিহার্সালের জন্য যেতে বলে। কিন্তু না বলে দেয় শিমুল। এমনকি তার শাশুড়ি বেরিয়ে এসে বলে যে শিমুল রিহার্সাল করবে না। বাড়ির বউ নাচবে না। কিন্তু এইসব ক্ষেত্রে শিমুলের ননদ তাকে ভীষণ রকম ভাবে সাপোর্ট করছে।
কিন্তু আশা করা হচ্ছে দর্শকদের ক্ষোভের মুখে পড়ে আগামী দিনে হয়ত শিমুলের শাশুড়ির চরিত্রটা কিছুটা হলেও নরম করে দেখানো হবে। তার মূল কারণ হল শিমুলের শাশুড়ির একটা কষ্টকর অতীত আছে। যে অতীতের কিছুটা হলেও আভাস পেয়েছে শিমুল। শিমুলের শাশুড়ি শিমুলকে যে কষ্টটা দেয় তার থেকেও শতগুণ বেশি কষ্ট তিনি সহ্য করেছেন। আর সেই কষ্ট থেকেই তার আক্রোশ গিয়ে পড়েছে শিমুলের প্রতি। তবে মনে করা হচ্ছে আগামী দিনে হয়ত শিমুলের সবথেকে কাছের বন্ধু হয়ে উঠতে চলেছেন তার শাশুড়ি।