বর্তমানে ধারাবাহিক যেদিকে এগোচ্ছে, অনেকেরই মনে হচ্ছে হয়তো গল্পে আসতে চলেছে নতুন কোনও অধ্যায়। ‘ইচ্ছে পুতুল’এ (Icche Putul) মেঘ (Megh) ও নীলের (Neel) জীবনে আসবে নতুন কোনও ট্যুইস্ট। সম্প্রতি ধারাবাহিকে এন্ট্রি নিয়েছে নতুন মুখ, মেঘের জীবনে সেই আগন্তুকের কতটা প্রভাব ফেলবে, তাই এবার দেখার। উল্লেখ্য, ময়ূরীর (Mayuri) চালাকিতে ফের মিথ্যা অপবাদে মেঘকে আবার শ্বশুরবাড়িতে অপমানিত হতে হয়। গিনির (Gini) বয়ফ্রেন্ড রূপের সঙ্গে মেঘের নাম জড়িয়ে মেঘকে বদনাম করে ময়ূরী।
গিনিকে বাঁচাতে গিয়ে মেঘ শ্বশুরবাড়িতে সকলের কাছে খারাপ হয়েছে। বারংবার অপমানিত হওয়ার পর মেঘ আবার নিজের জীবনকে নতুনভাবে শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই সে নীলকে ডিভোর্স দিতে রাজি হয়। এর মাঝেই মেঘ কিছু গুন্ডাদের পাল্লায় পড়তে নীল দেখে মেঘকে জোর করে তার গাড়িতে বসে। মেঘ যদিও প্রথমে রাজি হয়নি। মেঘ ও নীলকে একসঙ্গে দেখে ময়ূরী মনে আবার ভয় প্রবেশ করে। তার মনে হয়, তারা আবার কাছাকাছি আসছে। তাই ময়ূরী ফের নীলের সামনে মেঘকে খারাপ করার চেষ্টা করে।
নীলের মা মীনাক্ষী তাদের ডিভোর্স পেপার নিয়ে উপস্থিত। অন্যদিকে মেঘ তার বাবাকে নিশ্চিতভাবে জানিয়ে দেয় যে সে আর নীলের সঙ্গে সংসার করবে না। পড়াশোনা ও গান নিয়েই সে থাকতে চায়। তবে নীলের ঠাম্মি সব আন্দাজ করতে পারে। ঠাম্মি বুঝতে পারে খুব শীঘ্রই গাঙ্গুলি বাড়িতে বিপদ আসতে চলেছে। ময়ূরী যে মেঘের নাম মিথ্যা কথা বলছে, তাও নীলের ঠাম্মি জানে। ইতিমধ্যে মেঘ তার এক নতুন বন্ধু পেয়েছে, যে হল মেঘের গানের গুরুজীর ছাত্র জিষ্ণু।
মেঘের সঙ্গে জিষ্ণুর নাম জড়িয়ে ময়ূরী আবার মেঘকে অপমানিত করার চেষ্টা করে। ময়ূরী চায়, জিষ্ণু মেঘের জীবনে আসুক যাতে নীলের থেকে মেঘ দূরে চলে যায়। নীলও ময়ূরীর কথায় জিষ্ণুকে মেঘের নতুন বয়ফ্রেন্ড ভাবতে বসেছে। ময়ূরী সর্বদা সুযোগ খোঁজে নীলের কাছে আসার। ইতিমধ্যে ময়ূরী তার মাকে জানিয়েছে, গিনির বিয়ের পর ময়ূরী নীলকে বিয়ে করবে। যা শুনে ময়ূরীর মা অবাক হয়ে যায়। সে বারণ করে ময়ূরীকে নীলের সাথে না জড়াতে।
সামনে গিনির বিয়ে, কিন্তু আমরা জানি গিনির হবু বর রূপ একজন চরিত্রহীন ছেলে। তার অনেক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। আর তাই সে গিনিকে বিয়ে করতেও চায় না। কিন্তু বিয়ের জল এতটাই গড়িয়েছে যে রূপ সরাসরি না করতে পারছে না। আবার এও জানা গিয়েছে, রূপের এক বউ রয়েছে। তবে কোনটা সত্যি, আর কি বা হতে চলেছে, তা এখনও নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না।