বাংলা ধারাবাহিক প্রেমী অথচ জগদ্ধাত্রী (Jagaddhatri ) দেখেন না এমন বাঙালি মেলা ভার। চলতি সপ্তাহে টিআরপি তালিকা অনুযায়ী এই ধারাবাহিকটি আবারও নিজের প্রথম স্থান হারিয়েছে জলসার অনুরাগের ছোঁয়ার (Anurager Chhowa) কাছে। কিন্তু তাতে কি? মাত্র এক নম্বরের ফারাকে হেরেছে জগদ্ধাত্রী। হতে পারে আগামী সপ্তাহে আবারও কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারে এই ধারাবাহিকটি।
দর্শকদের ভীষণ রকম পছন্দের ধারাবাহিক জগদ্ধাত্রী। আসলে এখানে নায়িকার অধিকার পাওয়ার লড়াই নেই। সেই সঙ্গে নেই একজন নারীর অসহায় পরিস্থিতির কোনও চিত্র।বরং রয়েছে অপরাধ এবং অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার এক কঠিন মানসিকতা। যারা বাংলা টেলিভিশন দেখেন তারা অনেকেই জ্যাস সান্যালের ভক্ত। আর তিনিই হলেন ধারাবাহিকের মূল নায়িকা জগদ্ধাত্রী।
একই রূপে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করছেন এই ধারাবাহিকের নায়িকা। একাধারে তিনি বাড়ির বধূ জগদ্ধাত্রী। অন্য দিকে তিনিই আবার অপরাধ দমনকারী দুঁদে অফিসার জ্যাস সান্যাল। যাকে ভয় পায় সবাই। সমস্ত অপরাধীদের অপরাধের শাস্তি দেওয়াই তার একমাত্র কাজ।
আর এই কাজে তার অন্যতম সঙ্গী তার ননদ কৌশিকী মুখার্জি। জগদ্ধাত্রীর স্বামী স্বয়ম্ভু রাজনাথ মুখার্জির প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সন্তান। কিন্তু সেই সন্তান-সম্পত্তির ভাগ পাক এমনটা একেবারেই চায় না রাজনাথের স্ত্রী বৈদেহী মুখার্জি, তাদের ছেলে উৎসব মুখার্জি উৎসবের স্ত্রী মেহেন্দি। যে কিনা আবার সম্পর্কে জগদ্ধাত্রীর সৎ বোন।
একইভাবে তারা চায় না মুখার্জি পরিবারের ব্যবসার মাথায় থাকুক কৌশিকী মুখার্জি। তাদের ধান্দা কৌশিকী এবং স্বয়ম্ভুকে সরিয়ে দিয়ে মুখার্জি বাড়ির ব্যবসার মাথায় বসা। কৌশিকী এতদিন যাবত বিবাহ বিচ্ছিন্ন ছিল। আবারও প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গেই বিয়ে হয়েছে কৌশিকীর। তাদের ধান্দা কৌশিকীর নিজের প্রাক্তন স্বামী সমরেশের কাছে ফিরে গেলে সে আর বাপের বাড়ির ব্যবসায় দখলদারি করবে না। কিন্তু এই আশা যে একেবারেই ভুল তা বৈদেহী এবং উৎসবকে খুব ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছে কৌশিকী। উৎসব এবং মেহেন্দি যে এক নোংরা খেলায় মেতেছে সেটাও বুঝে গেছে কৌশিকী।উৎসব-মেহেন্দি নোংরা খেলা বন্ধ করে উচিত শাস্তি দিতে পারবে জ্যাস-কৌশিকী? সেটাই এখন দেখার।