মেঘকে (Megh) ডিভোর্স দিয়ে ময়ূরীকে (Mayuri) বিয়ে করবে বলে ঠিক করেছে নীল (Neel)। যদিও এই বিয়ে ময়ূরীর প্রতি ভালোবাসা থেকে নয়, মেঘকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য। কিন্তু নীল নিজেও জানে না মেঘকে শিক্ষা দিতে গিয়ে কত বড় ভুল করছে সে। আমরা আগেই জানি, নীলকে বিয়ে করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল ময়ূরী। কিন্তু ঘটনাক্রমে নীল ময়ূরীকে নয়, মেঘকে বিয়ে করে। আর তারপর থেকেই ময়ূরী একের পর এক কান্ড ঘটিয়ে মেঘকে অপদস্ত করার চেষ্টা করে। এমনকি শ্বশুরবাড়ির সকলেই মেঘকে খারাপ চোখে দেখতে থাকে।
ময়ূরীর একের পর এক চক্রান্তে জড়িয়ে মেঘ নীলের কাছেও অপমানিত হতে থাকে। শেষমেশ মেঘ গিনিকে যখন রূপের ব্যাপারে সাবধান করতে যায়, তখন উল্টে মেঘকেই দোষারোপ করা হয়। ময়ূরী রূপের সঙ্গেও মেঘের নাম জড়িয়ে মেঘকে দুশ্চরিত্রের তকমা দেয়। আর এই কথা বিশ্বাস করে নেয় নীলও। শেষমেশ মেঘ আর সহ্য করতে না পেরে নীলকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা বলে। নীল মেঘকে বলে, যদি সে প্রমান করতে না পারে যে সে নির্দোষ। তাহলে নীল ময়ুরীকেই বিয়ে করবে।
মেঘ দিদির সব কারসাজি সকলের সামনে প্রমানসহ তুলে ধরে। ময়ূরী নিজের মুখে নীলের সামনে নিজের সব দোষ স্বীকার করে। কিন্তু ময়ূরী সুস্থ হতেই আবার মিথ্যা কথা বলে সকলকে নিজের কাছে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করে। ময়ূরী বলে, মেঘ তাকে জোর করে এসব কথা বলতে বাধ্য করেছিল। নয়তো মেঘ ময়ূরীকে রক্ত দিত না। নীল ময়ূরীর কথায় বিশ্বাস করে নেয় এবং ঠিক করে ময়ুরীকেই সে বিয়ে করবে।
অন্যদিকে রূপের সঙ্গে গিনির বিয়ের সেই দিন এসেই গেল। আমরা জানি, রূপ একজন লম্পট ছেলে, সে গিনিকে ভালোবাসে না। রূপ শুধুই মেয়েদের ব্যবহার করে। কিন্তু বাবার চাপে গিনিকে বিয়ে করতে রূপ রাজি হয়। আর তাই গিনির প্রতি রূপের ব্যবহারেও বেশ পরিবর্তন দেখা যায়। গিনি সেই পরিবর্তন লক্ষ করে কিন্তু ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে সেগুলো নিয়ে আর না ভেবে বিয়ের প্রস্তুতি নেয়। দেখা যায়, গিনির বিয়ের দিন মেঘ, ময়ূরী ও মেঘের বাবা-মা সকলেই এসে উপস্থিত হয়েছে।
নীল ইচ্ছা করে মেঘকে দেখিয়ে ময়ূরীর সাথে ভালো ভালো কথা বলে। তাকে বিয়ের সকল দায়িত্ব দেয়। এরপর মেঘকে দেখে নীল বলে, সে এলে কিছু না কিছু অঘটন ঘটবেই। তখন মেঘ নীলকে কড়া জবাব দিয়ে বলে, একটু ভালোভাবে দেখলেই বোঝা যাবে আসল সত্যিটা। আর তখনই খোলসা হয়ে যাবে কে মিথ্যা বলেছে আর কে সত্যি! তবে কি গিনির বিয়ের দিনই রূপের আসল সত্যি সবার সামনে আসবে?