জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘শুটিয়ে লাল করে দেবো নোংরামি বের করে দেবো’! মিনমিনে নয়, খাসা ডায়লগে শিমুলের মতো প্রতিবাদী স্ত্রী চাইছে ছেলেরা

বাংলা টেলিভিশনের (Bengali Television) পর্দায় এই মুহূর্তের জমজমাট ধারাবাহিকের নাম কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kachhe Koi Moner Kotha)। এই ধারাবাহিকটি এই মুহূর্তে দর্শকদের কাছে অন্যতম পছন্দের একটি ধারাবাহিকের পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই ধারাবাহিকে দেখানো বিভিন্ন পর্ব তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুরুর দিকে বেশ কিছু পর্ব নিয়ে দর্শকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেলেও বর্তমানে কিন্তু অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শিমুলের পাশেই দাঁড়িয়েছেন দর্শকরা। এক বাক্যে বলছেন মুখ বুজে অত্যাচার সহ্য করা নয় বরং প্রতিবাদ করাটাই শ্রেয়। আর আত্মসম্মান বিসর্জন না দিয়ে চুপচাপ না থেকে শিমুলের এই প্রতিবাদী সত্ত্বাই দর্শকদের আকর্ষিত করছে বলে মত নেটিজেনদের।‌

এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এক সদ্য বিবাহিতা মেয়ের উপর নারী নির্যাতনের ঘটনা। হয়ত অনেকেই বলবেন আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এতটা অত্যাচারিত বোধহয় কোন‌ও মেয়েই শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে হননা। কিন্তু মুদ্রার একটা পিঠে যদি আলো থাকে অপর পিঠ অবশ্যই অন্ধকার। সমাজে আজ‌ও নারী নির্যাতন একই রকম ভাবে রয়ে গেছে।

আজ‌ও খবরের কাগজ খুললে একটা নারী নির্যাতন, নারী অত্যাচার, এমনকি অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা বা শ্বশুরবাড়িতে খুনের ঘটনা আপনি নিশ্চয়ই পাবেন। আর সেই দিকের কথা মাথাতে রেখেই এই ধারাবাহিকের সূচনা। সেইসঙ্গে এক নারীর পাশে থাকা আর‌ও চার বন্ধুর গল্প উঠে আসছে এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে।

এই ধারাবাহিকের নায়িকা শিমুল। তার বিয়ে হয়েছে এমন একজন পুরুষের সঙ্গে যে পেশায় স্কুল শিক্ষক হলেও আদ্যপ্রান্ত, মেরুদণ্ডহীন একটি মানুষ। নিজের স্ত্রীকে ভালোবাসা, বিশ্বাস করা দূরে থাক, সে শুধুমাত্র বিয়ে করেছে নিজের কামনা বাসনা চরিতার্থ করার জন্য। আর সেইসঙ্গে শিমুলের পরিবারে রয়েছে অসম্ভব ধান্দাবাজ, কুটিল এক দেওর। আর রয়েছে নিজে শ্বশুর বাড়িতে এসে অত্যাচারিত হয়েছে বলে ছেলের বউকেও অত্যাচার করব এমন মানসিকতা সম্পন্ন এক শাশুড়ি।

আরও পড়ুনঃ বেস্ট নায়িকা ‘মিঠাই’ কিন্তু ফেল আদৃত রায়! ৫৭ বার টিআরপি এনে দেওয়া নায়ক কেন বাদ? ক্ষিপ্ত ভক্তরা

যদিও শাশুড়িকে সহ্য করে নিলেও ডান্ডা দিয়ে নিজের দেওরকে ঠান্ডা করে দিয়েছে শিমুল। খেতে না দিয়ে জব্দ করেছে বরকে। শুধু কী তাই? বর গায়ে হাত তোলায় সোজা তার স্কুলে চলে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে নালিশ ঠুকে এসেছে সে। যার ফলে শিমুলের বর পরাগের চাকরি যাই যাই। আসলে অত্যাচার চলছে বলে সহ্য করতে হবে তা নয় বরং অত্যাচারে বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। চোখের জলে নয় হতে হবে প্রতিবাদী‌। আর মিনমিনে নয়, প্রতিবাদী মেয়েরাই এখন ছেলেদের পছন্দ।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।