বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় এই মুহূর্তে অন্যতম দর্শকপ্রিয় ধারাবাহিকের নাম অবশ্যই জি বাংলার কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Katha) । অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যেই এই ধারাবাহিকটি দর্শক মনে দারুন রকমের প্রভাব বিস্তার করেছে। আর যার ফল স্বরূপ এই মুহূর্তে টিআরপিতেও বেশ ভালো রকমের জায়গাতেই রয়েছে এই ধারাবাহিকটি।
মানালি দে, স্নেহা চট্টোপাধ্যায়, বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়, রীতা দত্ত চক্রবর্তী, দ্রোণ মুখোপাধ্যায়ের মতো একাধিক সব জনপ্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রীদের ভিড় এই ধারাবাহিকে। বলা যায় প্রত্যেকেই প্রত্যেকের চরিত্রের সঙ্গে জাস্টিস করছেন। আর যে কারণেই এই পরিমাণ জনপ্রিয়তা কার কাছে ওই মনের কথার।
এক সদ্য বিবাহিতা মেয়ের বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারিত, লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাকে তুলে ধরা হয়েছিল এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে। আর বাস্তবসম্মত এই ধারাবাহিকের গল্প শুরু থেকেই নজর করেছিল দর্শকদের। তবে কিছু কারণ নিয়ে শুরুর দিকে দর্শকদের মধ্যে বিক্ষোভ দেখা গেলেও পরবর্তীতে তারা কিন্তু এই ধারাবাহিকটিকে ভালোবেসে ফেলেছেন।
বলাই বাহুল্য, এই ধারাবাহিক শিমুলের শাশুড়ি অর্থাৎ মধুবালার চরিত্রটি কিন্তু শুরুতে নেগেটিভ চরিত্র হিসেবেই ধরা দিয়েছিল। শিমুলকে শোষণ অত্যাচারে সব থেকে বেশি এগিয়েছিল তার শাশুড়ি। আসলে শিমুলের শাশুড়ি নিজেকে একটা কঠিন আবরণের মধ্যে আবদ্ধ করে রেখেছিলেন। আসলে তিনি নিজেও শ্বশুর বাড়িতে এসে অত্যাচার, লাঞ্ছনার শিকার হয়েছিলেন।
তার স্বামী, ননদরা তার গায়ে হাত তুলতো। তার বাবা বাড়িতে এলে তার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হতনা। আর সেই অত্যাচারের বদলাই তিনি শিমুলের উপর নিতে চেয়েছিলেন। আর সঙ্গে তো রয়েছেই তার দুই ছেলে পরাগ এবং গুণধর পলাশ। আর এবার শিমুলের শাশুড়ি শিমুলের হয়ে কথা বলা শুরু করতেই বেজায় ঝামেলায় পড়েছে এই দুই ছেলে।
পাড়ার দুর্গা পজোর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন মধুবালা। চাঁদা তোলা থেকে ঠাকুর আসার পর সবার সঙ্গে রাস্তায় নাচ কোন কিছু আনন্দ থেকেই তিনি নিজেকে বাদ রাখছেন না। আর তার এই সব কাজ মোটেও পছন্দ হচ্ছেনা তার দুই ছেলের। এদিনের পর্বে পলাশকে মায়ের উদ্দেশ্যে বলতে শোনা যাবে, বাবা থাকলে তোমাকে চা’ব’কে ঠিক করে দিত! এই কথা শুনে প্রতিবাদী মধুবালা বলে এই নিয়ে এই কথা তোমার মুখে আমি দু’বার শুনলাম। যদি আর একবার শুনি তাহলে তোমার খবর আছে।