জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

Neem Phuler Modhu: চয়নকে বাঁচাতে মন্ত্রীকে শাসিয়ে এল পর্ণা! রাস্তায় গাড়িচাপা দিয়ে মারার ফন্দি মন্ত্রীর

এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় যে ধারাবাহিকটি প্রত্যেক সপ্তাহে নিজের টিআরপি রেটিং পয়েন্ট বাড়িয়ে এক ধাপ এক ধাপ করে উঠে চলেছে সেই ধারাবাহিকটির নাম নিম ফুলের মধু (Neem Phuler Modhu)। অল্প সময়ের মধ্যেই এই ধারাবাহিক দর্শক মনে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছিল। আর তারপর উত্তরোত্তর বেড়েছে এই ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা।

বর্তমানে এই ধারাবাহিক বাংলা টেলিভিশনপ্রেমীদের কাছে এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে সাম্প্রতিক সময়ে টিআরপি তালিকায় সমস্ত ধারাবাহিককে হারিয়ে একেবারে সোজা দ্বিতীয় স্থানে উঠে গেছে। এই ধারাবাহিকের প্রতি দর্শকদের জনপ্রিয়তা, ভালোবাসা যদি এমনটাই থাকে তাহলে আগামী দিনে প্রথম স্থান‌ও দখল করে নিতে পারে এই ধারাবাহিকটি।

সৃজন-পর্ণার গল্প এই ধারাবাহিকের মূল পাথেয়। এই ধারাবাহিক সৃজন এর চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেতার রুবেল দাস। ও পর্ণার চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী পল্লবী শর্মা। অল্প সময়ের মধ্যেই এই ধারাবাহিক মন জিতে নিতে সক্ষম হয়েছে বাঙালির।‌ আসলে গল্প এবং চরিত্রাভিনেতাদের অভিনয় যদি ভালো হয় তাহলে ধারাবাহিক হিট না হয়ে যায় কোথায়!

আর তেমনটাই হয়েছে নিম ফুলের মধু ধারাবাহিকের ক্ষেত্রেও। এখানে পর্ণার ঘরে বাইরে শত্রু। এক শত্রু যায় অপর শত্রু আসে। তবে পর্ণার পার্মানেন্ট একজন শত্রু রয়েছে। আর তিনি হলেন তার শাশুড়ি। গোটা পরিবার পর্ণাকে ভালবাসলেও তার শাশুড়ি এতদিনেও পর্ণাকে ভালোবেসে উঠতে পারল না।‌ বরং নিজের ছেলের জীবন থেকে পর্ণাকে তাড়ানোর জন্য সব সময় উদ্যত হয়ে রয়েছেন তিনি।

আর পর্ণার স্বামী সৃজন মনে মনে বউকে ভালবাসলেও মায়ের কথার বিরোধিতা করতে পারে না। আসলে মাথায় বড়ই বুদ্ধি কম তার। বিচারবুদ্ধি একেবারে নেই বললেই চলে। আর তাই কে তার ভালো চাইছে আর কে খারাপ চাইছে সেটা বুঝে ওঠার ক্ষমতাই নেই তার। আর তাই মা ও ঈশার কথায় পরিচালিত হয়ে পর্ণাকে ডিভোর্স দিতে উদ্যত হয়েছিল সৃজন। যদিও দুর্গাপুজোর ছুটির কারণে ডিভোর্সের কেস মুলতবি রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ২০২৪ এর ‘জি বাংলা সোনার সংসার অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে কারা কারা পাচ্ছেন পুরস্কার? প্রকাশ্যে সেই তালিকা

এরই মধ্যে দত্তবাড়িতে ঘটে গেছে একটি দুর্ঘটনা। দুর্গা পুজো পরবর্তী এক মন্ত্রীর ছেলের দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার মাশুল দিতে হচ্ছে এখন চয়নকে। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে সে। কিন্তু মুখ চুপ করে বসে থাকার পাত্রী যে নয় পর্ণা। সে সরাসরি মন্ত্রীকে গিয়ে হুঁশিয়ারি‌ দিয়ে আসে। মন্ত্রী তখন তার পোষা গুন্ডাদের পর্ণাকে নিকেষ করে দিতে বলে। পর্ণা পথ দিয়ে হাঁটতে থাকলে মন্ত্রীর পোষা গুন্ডা লরি চাপা দিয়ে মারতে যায় পর্ণাকে। সেই সময় সৃজন পর্ণার হাত ধরে টেনে তাকে সরিয়ে নেয়। আর বলে ডিভোর্সের লড়াইটা এখন থাক বরং এই লড়াইটা আমরা একসঙ্গে লড়ি। আর এই লড়াইটা লড়তে গিয়ে ডিভোর্সের লড়াইটা যে থেমে যাবে সেটা দর্শকরা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। বেচারি কৃষ্ণার কী হবে?

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।