টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় এবং দাপুটে অভিনেতা হলেন দীপঙ্কর দে (Dipankar Dey)। টলি পাড়ার অন্যতম অপরিহার্য অভিনেতা তিনি। আজও যে কোনও চরিত্রে সমান সাবলীল তিনি। বয়সকে তুরি মেরে উড়িয়ে সমানভাবে অভিনয় করে চলেছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। সত্যজিত রায়, তপন সিংহ থেকে শুরু করে ঋতুপর্ণ ঘোষ, অপর্ণা সেনের মতো তাবড় পরিচালকদের অন্যতম ভরসা ছিলেন দীপঙ্কর দে।
যদিও অভিনেতা নিজে এবং তার স্ত্রী দোলন রায় মনে করেন এখনও নিজের শ্রেষ্ঠ কাজ করে ওঠা হয়নি দীপঙ্কর দে। বলাই বাহুল্য দীপঙ্কর দে ও দোলন রায় এই দুজন হলেন অসমবয়সী প্রেমের এক জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ। হাতে হাত রেখে দুজনের পথচলা শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় এক যুগ আগে। দীর্ঘদিন সহবাসের পর দাম্পত্য উপনীত হয় তাদের সম্পর্কl ২৬ বছরের ছোট এক মেয়েকে বিয়ে করার জন্য তীব্রভাবে সমালোচিত হন অভিনেতা দীপঙ্কর দে।
দীপঙ্করের হাত ছাড়েননি দোলন। শত বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে, নিন্দা-সমালোচনা মাথায় করে নিয়ে মনের মানুষের সঙ্গেই তিনি কাটিয়ে দিয়েছেন ১২টি বছর। আইনের চোখে নিজেদের সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিয়ে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করেন তারা। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে তাদের বিয়ে হয়। টলিউডে কার্যত তারাই প্রথম প্রমাণ করেন, বিয়ের ক্ষেত্রে বয়সটা কোনও ফ্যাক্টর নয়।
চলতি বছরের অগাস্ট মাসেই না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন দীপঙ্কর দের বড় কন্যা বৈশালী কুরিয়াকোস। মেয়েকে হারিয়ে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেতা। আর ফের একবার ভেঙে পড়েছেন তিনি। কিন্তু কেন? গতকাল ছিল বিশ্বকাপে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ফাইনাল। এই বিষয়ে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে অভিনেত্রী দোলন রায় জানিয়েছেন, সকাল থেকে আমার বাড়িতে তোরজোড় চলছিল খুব। আপনাদের দীপঙ্করদা এক্কেবারে রেডি হয়ে বসেছিলেন টিভির সামনে। মাংস এল। রান্না করলাম। আমার ভাইয়েরাও এসেছিলেন। বেলা ১টার মধ্যে খাওয়াদাওয়া সেরে বসে পড়লেন টিভির সামনে। তারপর টিভির সামনে থেকে একবারও ওঠেননি।
আরও পড়ুনঃ টিআরপি নয়, অভ্যন্তরীন সমস্যার জেরে রাতারাতি বন্ধের মুখে জি বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়াল!
২০০৩ সালের বদলা নেবে রোহিতের ভারত এটাই ছিল আশা। আর সেই আশায় বুক বেঁধে ছিলেন প্রত্যেক ভারতবাসী। কিন্তু দিনশেষে শুধুই হতাশা। ভারতের মাটি থেকে বিশ্বকাপ নিয়ে চলে গেল অস্ট্রেলিয়া। অভিনেত্রী জানিয়েছেন অভিনেতা কার্যত ভেঙে পড়েছেন ভারতের হারে। নিঝুম হয়ে গেছেন। মনে হচ্ছে, কী যেন একটা ঘটে গিয়েছে। থম মেরে বসে আছেন ভারত হারার পর থেকে। মুখে কোনও কথাই নেই। এতটাই কষ্ট পেয়েছেন যে, মাংস থ্রিজে তুলে দিতে বলেছেন। শুধু বলেছেন, ‘আজ রাতে শুধু আলুসেদ্ধ ভাতই খাব’।