জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ইচ্ছেপুতুল’ (Icche Putul)। ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী, ময়ূরীর ষড়যন্ত্রের শিকার মেঘ। ঘুরপথে চাল চেলে মেঘের নামে বদনাম রটিয়েছে ময়ূরী। দর্শক মহলের অধিকাংশের মত ময়ূরীর মত বোন থাকার চেয়ে না থাকা ভাল। অর্থাৎ, দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ঢের ভাল। সে তাঁর বড় বোন মেঘের স্বামী নীলের প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে দিদির শ্বশুর বাড়ি থাকতে আসে। আর যে থালায় খায়, সেই থালাই ফুটো করতে শুরু করে। সুযোগ খুঁজতে থাকে কখন সে দিদি ও জামাইবাবুর মধ্যে ঝামেলা লাগিয়ে নিজে নীলের বউ হয়ে এই বাড়ি আসবে। সম্প্রতি, ছক কষে রূপের সঙ্গে এক ঘরে মেঘ রয়েছে বলে নীলের সামনে মেঘের চরিত্র কালিমালিপ্ত করেছে সে।
তারপরই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। হাসপাতাল নীল বাড়িতে এসে ভেঙে পড়ে। সে বুঝতে পেরেছে মেঘ আর ফিরবে না। এই কথা শুনে মীনাক্ষী বলে,”মেঘ নীলকে ভালবাসে। সে নীলের কাছে আর ফিরবে না এমনটা হতে পারে না। আমরা সবাই আছি নীল। তোদের ডিভোর্সটা আমরা হতে দেব না। নিশ্চয়ই অনিন্দ্যবাবুর জন্য মেঘ বলছে ফিরবে না।”
ভাস্করকে চিন্তিত দেখে মীনাক্ষী বলে,”আমরা সবাই মিলে না হয় অনিন্দ্যবাবুকে গিয়ে বলবো। দেখি না কী হয়। আর তো দু’দিন বাদেই মেঘের ছুটি হয়ে যাবে। আমরা আর হাসপাতালে যাব না। একেবারে বাড়িতেই যাব।” শুনে ভাস্কর বলে,”ঠিক বলেছ। মেঘ আর নীলের সম্পর্কটা যেন ঠিকই হচ্ছে না। ওদের সংসারে অশান্তি লেগেই রয়েছে।”
অন্যদিকে, মেঘকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়েছে। অনিন্দ্যবাবু তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে এনেছে। এখন আগের থেকে অনেকটা সুস্থ সে। অনিন্দ্যবাবুর বাড়িতেই সকলে দেখতে আসে মেঘকে। কিন্তু মেঘকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা শুনে অনিন্দ্যবাবু সাফ জানিয়ে দেন মেঘকে নিয়ে আর কোনো ঝুঁকি তিনি নিতে চান না। মেঘ আর ওই বাড়িতে ফিরে যাবে না।
কিন্তু মীনাক্ষীদেবী বলেন, “এতো আপনার কথা। আমি মেঘের থেকেই জানতে চাই ও নীলের সঙ্গে সংসার করতে চায় কিনা। ওর যদি মত না থাকে, তার উপর আর কোনো কথাই হয়না। আমি ওর মুখ থেকেই শুনতে চাই।”
আরও পড়ুনঃ পর্ণার বুদ্ধিতে বাজিমাত! রুচিরাকে উদ্ধার করে রনিকে উচিত শিক্ষা দিল পর্ণা! পর্দা ফাঁস অপরাধীদের
এসব কিছুই উপর থেকে দেখে ময়ূরী। সে জানে মেঘ এখন অনেকটা দুর্বল। তাই হয়ত ফের নীলের কাছে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবতে পারে সে। আর নীলের কাছে ফিরে গেলেই বাপি আর নীলের মধ্যে দুরত্ব তৈরি হবে। আর সেইটা হলে ময়ূরীর থেকে বেশি খুশি হয়ত আর কেউ হবেনা।
View this post on Instagram