জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“মা-মেয়ের সম্পর্কটা হাস্যকর করে তুলেছেন,” এই প্রথম প্রেমিকার মাকে নিয়ে সরব অহনার সহবাস সঙ্গী দীপঙ্কর

নিজের যে কোনও সন্তান আছে, সেই কথা মনে রাখতে চান না মা। মায়ের মুখে এমন কথা! আঁতকে ওঠার মতই। তবে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ‘মিশকা’ ওরফে অহনা দত্তের (Ahona Dutta) সঙ্গে তাঁর মায়ের সম্পর্কের সমীকরণটা খানিক সেরকমই। সমাজ মাধ্যমে মা-মেয়ের বাকবিতণ্ডা তুঙ্গে। নেটিজেনদের কারর মা-মেয়ের তিক্ত সম্পর্কের কথা অজানা নয়।

অভিনেত্রী ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র মেক আপ আর্টিস্ট দীপঙ্কর রায়কে ভালোবাসেন। দীপঙ্কর ডিভোর্সি, বার বার বিবাহ করেছেন। অহনার সঙ্গেও দীপঙ্করের বয়সের বিস্তর ফারাক। আর পাঁচটা মায়ের মতই এহেন ছেলের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক হোক চাননি অভিনেত্রী চাঁদনী গঙ্গোপাধ্যায়। মা-মেয়ের ভুল বোঝাবুঝির কারণ দীপঙ্কর। তাই বিগত এক বছর ধরে মেয়ের সঙ্গে কথাও বলেননি তিনি।

 

মাঝেমাঝেই সমাজ মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেন অহনার মা চাঁদনী। সম্প্রতি লিখেছেন, তিনি ভুলে যেতে চান, যে তাঁর একটা মেয়ে আছে। তবে এসব নিয়ে কী বক্তব্য অহনা দত্তের প্রেমিকের? এই প্রথম সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুললেন মেকআপ শিল্পী দীপঙ্কর রায়।

দীপঙ্কর জানিয়েছেন, তাঁর নামে অনেক সমালোচনা। অহনার মা চাঁদনী গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে অনেক কিছু বলেছেন। সমাজ মাধ্যমে অনেক কিছু লিখেছেন। এসবের কিছুই অজানা নয় দীপঙ্করের। তবে এখন আর এইসব পোস্ট দেখেন না। না দেখার দরুন ভাবিতও হন না। কোনও রকম নেতিবাচক বিষয়ের স্থান নেই তাঁর জীবনে বলে অকপট দীপঙ্কর।

দীপঙ্করের মতে, মা-মেয়ে শাসন করতেই পারেন। কিন্তু চাঁদনী গঙ্গোপাধ্যায় মায়ের জায়গা থেকে যেটা করেছেন তা সম্পর্কটাকে হাস্যকর জায়গায় নিয়ে গেছে। এর সঙ্গেই দীপঙ্করের সংযোজন,”ও ভালোবেসেছে এটাই অপরাধ? আমার অহনাকে ভালো লেগেছিল। কোনো কিছু না ভেবেই সেকথা ওকে জানাই। অহনা আমার অতীত, বয়সের ফারাক সবকিছুর সঙ্গেই অবগত। ও সবটা জেনেই ওর জীবনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মনে করেছিল আমার উপর ভরসা করা যায়।”

দীপঙ্কর আরও বলেন, “বাড়িতে ও সবটাই জানিয়েছিল। কিন্তু বাড়িতে মেনে না নিলে, একরকম বাধ্য হয়েই ঘর ছাড়ে। আমি ওকে ওঁর সিদ্ধান্ত নিয়ে বারবার জিজ্ঞেস করেছি। যে তুই খুশি তো? আমার উপর ভরসা করেছিল সেই কবেই।” এখন নাকি অহনাও চান না বাড়ি ফিরে যেতে। বাড়িতে নাকি তেমন পরিস্থিতিই নেই বলে জানান দীপঙ্কর। এতকিছুর পরও অহনার মায়ের প্রতি ক্ষোভ নেই তাঁর। অভিনেত্রীর কথায়, যদি ওনারা সব ঠিক করে নিতে চান তাহলেও তিনি রাজি।

 

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।