জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিকটি সম্পূর্ণভাবে ভিন্ন মহিলাদের জীবন থেকে গড়া একটি ধারাবাহিক, যেখানে প্রত্যেকটি মহিলা চরিত্রেরই একটু নিজস্ব বৈশিষ্ট্য, লক্ষ্য এবং দৃষ্টিকোণ রয়েছে। ধারাবাহিকে শিমুলের জীবনে শুরু হয়েছে বিপর্যয়। স্বামী, দেয়র, প্রতীক্ষা, মধুবালা দেবী কেউ নিস্তার দিচ্ছে না কাকে। পরাগকে বিষ দেওয়ার অপরাধে গ্রেফতার হয়েছে শিমুল। শাশুড়ি সহ পরিবারের সকলেই এখন তার বিরুদ্ধে। তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা।
যেই মানুষগুলোকে ভালোবেসে শিমুল তাদের জন্য সব করেছে তারাই আজ তার শাস্তির কামনা করছে। নিজের পরিবারের কেউই এখন পাশে নেই তার। এমনকি তার মাও জানিয়েছে মেয়ের মুখ দেখেবেন না তিনি। তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখেনি তার প্রিয় বৌদিও। শতদ্রু, বিপাশা, সুচরিতা, শির্ষা সকলেই প্রত্যেক সময় তার পাশে ছিলেন, আছেনও। তার জন্য উকিল ঠিক করা তাকে যতটা সম্ভব সহায়তা করার চেষ্টা করছে তারা। কিন্তু পরিবারের বিরুদ্ধে কিবা বলবে তারা বাইরের লোক হয়ে। তাই শত চেষ্টা করেও তাদের বিরোধিতা কখনও বিশেষ কিছুই করে উঠতে পারেনি তারা।
পুতুল যদিও চেষ্টা করে কিন্তু ওর কথায় গুরুত্ব দেয়না কেউই। তবে যখন নিজের লোকই পাশে থাকেনি তখন কাকিমা এবং তুতুলের শিমুলের হয়ে লড়াই দর্শকদের মন কেড়েছে। শিমুলের সঙ্গে হওয়া প্রত্যেকটি অপমানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে সে। সকলেই ভয় পেয়ে দমে গেলেও কখনও থামেনি তুতুল। সে স্পষ্টভাবে জানিয়েছে তার বৌদিভাই তাকে লড়াই করতে শিখিয়েছে গেছে তাই সে বৌদিভাইয়ের হয়ে লড়াই করবে।
পরিবারের সকলেই যখনও অসৎ, কুটবুদ্ধি সম্পন্ন তখন পাঁকে পদ্মফুলের ন্যায় ধারাবাহিকে ফুটে উঠেছে তুতুলের চরিত্র। তার স্পষ্ট বক্তার স্বভাব, মিষ্টি ব্যবহার, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর চারিত্রিক গুণাবলী মন ছুঁয়ে যাচ্ছে দর্শকদের। একমনকি নিজের দাদাকে বিষ খাওয়ানো হয়েছে জেনেও সে আবেগে ভাসেনি একবারও। সকলেই যখন শিমুলকে সন্দেহ করছে একমাত্র তুতুলই কোন পক্ষপাতিত্ব না করে নিজের বৌদিভাইয়ের সপক্ষে, সত্যের পক্ষে বলে গেছে।
আরো পড়ুন: ইচ্ছে পুতুলে তুলকালাম! রূপের হাত থেকে গিনিকে বাঁচাতে সিঁদুর পরিয়ে দিল জিষ্ণু! ধামাকা পর্ব আসছে
যা প্রমাণ করে দিয়েছে ননদ, বৌদির সম্পর্ক শুরু কলহ, হিংসা বা বিবাদের নয়, তারা একে অপরের বিপদে, সমস্যায় বন্ধু হয়ে, শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে থাকতে পারে সবসময়। একে অপরের জন্য লড়তে পারে, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারে সবসময়। যা তুতুলের চরিত্রে দৃষ্টান্তমূলক এবং তার এই গুণের জন্যই তার চরিত্র বারবার জিতে নিয়েছে দর্শকদের মন, প্রশংসা পেয়েছে সর্বদাই। সত্যিই এইরকম তুতুল চরিত্র সমাজের প্রতিটি বাড়িতে প্রয়োজন তবেই ননদ বৌদির সম্পর্কটি আরও মিষ্টি হয়ে উঠবে, বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠবে।