সেই হয়েছে গ্রীষ্মকাল। ইতিমধ্যেই বীরভূম, বর্ধনাম, পুরুলিয়া, কলকাতা সহ বেশ কয়েকটি জেলায় পড়েছে ভীষণ গরম। আর এই গরমে প্রয়োজন শরীরকে ঠান্ডা রাখা। কারণ এই গরম হওয়া শরীরে ঢুকে গেলেই শুরু হবে সমস্যা। আর এই সময় সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপুর্ন হল শরবত। যা আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখবে। তবে গরম মানেই তো বেলের সময়। তাহলে দেরি কেন চটপট বানিয়ে ফেলুন অত্যন্ত সহজ এই বেলের শরবত। তবে তার আগে চলুন জেনে নিই বেলের কি কি উপকারিতা রয়েছে।
তবে বেল কি শুধু শরীরকে ঠান্ডা করে! না সেটা নয়। বেলের শরবত আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। এছাড়াও বেল পাতার রস মধু দিয়ে খেলে চোখের ছানি এবং জ্বালা উপশম ঘটে। কাঁচা বেল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে আমাশয়কে প্রশমন করে। এছাড়াও ডায়রিয়া রোগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী। বেলে রয়েছেভিটামিন এ ও সি, এছাড়াও বেলে রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস। বেল আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায় এবং বেল প্রতিদিন খেলে কোলন ক্যান্সারের আশঙ্কা কমে যায়। এছাড়াও শিশুদের পেট ব্যাথা, আমাশয় এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে বেল।
বেলের শরবত বানানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন জিনিসটি হল ভালো পাকা বেল। তবে বেলের শরবত তৈরি করতে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন পাকা বেল। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি পাকা বেলের গায়ের রং হালকা হলদেটে ধরনের হয়। তাই দুটো বেল একে অপরের সঙ্গে ঠুকে সহজেই চিনতে পারবেন পাকা বেল। প্রথমেই লোহার দন্ড বা ভারী কিছু দিয়ে পাকা বেলটির মাঝ বরাবর ফাটিয়ে নিতে হবে। তারপর চামচ দিয়ে বাটিতে আলাদা করে নিয়ে নিন শাঁস।
ওই শাঁস আলাদা করে তাতে সামান্য পরিমাণ জল মিশিয়ে হাত দিয়ে ভালো করে কচলাতে থাকুন। পাকা বেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে তন্তু এবং বীজ থাকে তাই কচলানোর সময় সেগুলি বারবার হাতে আটকাতে পারে। প্রথমে ভালো করে জল দিয়ে কচলে কমলা রঙের মিশ্রণটি বের করে নিন। তন্তুগুলো হাতে এলে সেগুলোকে ভালো করে কচলে সেগুলো টিপে রস বের করে নিন। রস চিপে বের করা হয়ে গেলে তন্তুগুলোকে বাইরে ফেলে দিন।
তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন খেয়াল রাখবেন যেন তন্তু থেকে না যাই তাহলে কিন্তু মুখে তন্তু বাঁধবে। সব তন্তু বেরিয়ে গেলে তাতে সামান্য পরিমাণে চিনি মিশিয়ে ভালো করে গুলে নিন। তারপর চিনি দিয়ে একটি গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন পাকা বেলের শরবত। গরমে শরীর ভালো রাখতে একেবারে ধনন্তরী এই শ্রীফল।