পটল বলতেই বাড়িতে নাক কুচনায় অনেকেই। অনেকেরই আবার পছন্দ নয় পটলের গন্ধ। বাড়িতে পটল আসলেই তাই চিন্তার ভাঁজ করে গৃহিণীতের কপালে। দই পটল, পটলের দোর্মা, দুধ পটল এইসব তো অনেক হল, আচ্ছা পটলের খোসার ভর্তা খেয়েছেন কখনও? যেমন তার অপূর্ব স্বাদ তেমনই সহজ এই রেসিপিটি বানানো।
আর এই গরমে ঝুটঝামেলা ছাড়াই খুব সহজেই বানাতে পারবেন এই রেসিপিটি। কি বিশ্বাস হচ্ছে না তো? এবার বানিয়েই দেখুন। তবে প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি পটল কিছু সুপার ফুড। নানা গুণ আছে পটলে। উল্লেখ্য, পটলে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ১, বি ২ এবং ভিটামিন সি। এছাড়াও খোসাতেও আছে ডায়েটারি ফাইবার। যা আমদের পরিপাকতন্ত্রকে ভালো রাখে। তাহলে চলুন দেখে নিই কি কি উপকরণ লাগবে পটলের খোসার ভর্তা(potal shell filling) বানানোর জন্য।
উপকরণ: পটলের খোসা, পেঁয়াজ, ৪টে কাঁচা লঙ্কা, রসুন কুচি, হলুদ গুঁড়ো, পরিমাণ অনুযায়ী তেল, স্বাদ অনুযায়ী লবণ
প্রণালী: প্রথমে পটলগুলোকে ভালো করে ধুয়ে খোসা ছড়িয়ে নিন। এরপর কড়াইয়ে সামান্য তেল দিয়ে পটলের খোসাগুলোকে কড়াইতে দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে ঢাকনা দিয়ে রাখুন। এসময় কড়াইয়ের আঁচ কম থাকবে এবং পটলের খোসাগুলো সেদ্ধ করার সময় জলের ব্যবহার করবেন না। কারণ জল দিয়ে সেদ্ধ করলে ভাজা খোসার স্বাদ নষ্ট হয়ে যাবে। এরপর পটলের খোসাগুলো সেদ্ধ হয়ে গেলে একটি পাত্রে তুলে রাখুন।
আরও পড়ুন: পটল দেখলেই মুখ বেজার? শুধু মসুর ডাল আর পটল দিয়ে বানিয়ে নিন এক দারুণ সুস্বাদু রেসিপি! যা চাখলেই মুখে ফুটবে হাসি
এবার কড়াইয়ে পেঁয়াজ কুচি এবং গোটা কাঁচা লঙ্কা দিয়ে পেঁয়াজগুলো যতক্ষণ না বাদামি হয়ে যাচ্ছে ততক্ষন ভালো করে নেড়ে নিন। এরপর কড়াইয়ে দিয়ে দিন হলুদ গুঁড়ো এবং রসুনের কোয়াগুলো এবং ভালো করে ভেজে নিন। রসুনগুলো বাদামি রঙের হয়ে এলে কড়াইয়ে দিয়ে দিন পটলের খোসাগুলো। এরপর কড়াইয়ে সামান্য নুন দিয়ে সমস্ত উপকরণগুলো মিশিয়ে নিয়ে একটি পাত্রে তুলে নিন। তারপর শীলনড়া বা মিক্সারে ভালো করে গ্র্যান্ড করে নিন। পটলগুলো স্বাদ অনুযায়ী নুন ছড়িয়ে নিলেই ব্যস তৈরি আপনার পটলের ভর্তা। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন এই সুস্বাদু রেসিপিটি। নিমেষেই খাওয়ার থালা হবে পরিষ্কার।