কলমির শাক খাওয়ার চল প্রায় সমস্ত বাঙালি বাড়িতেই রয়েছে। অনেক বাড়িতেই আবার মধ্যাহ্ন ভোজে শাক মাস্ট। যদিও শাক দেখলেই বাড়ির ছোটদের মুখের হাসি ম্লান হয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করার পরও শাক খেতে একেবারেই পছন্দ করেননা তারা। তাহলে উপায়? তবে শাক না খেলেও চিংড়ি মাছ খেতে কিন্তু প্রায় সবাই ভালোবাসে। এবার তাই বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন কলমির শাকের চিংড়ি মাছ। খেতে হয় এবারে অসাধারণ। আর বাচ্চারাও চিংড়ি সঙ্গে এই শাক দারুণ পছন্দ করবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে বানাবেন এই রেসিপি।
উপকরণ:২ আঁটি কলমির শাক, ১ কাপ চিংড়ি, হলুদ গুঁড়ো, ১০-১২ টি কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ কুচি, ধনে গুঁড়ো, স্বাদ অনুযায়ী লবণ, পরিমাণ অনুযায়ী তেল
প্রণালী:প্রথমেই কলমির শাকগুলো ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন এবং চিংড়ি মাছগুলো ভালভাবে ধুয়ে রাখুন। এরপর কলমির শাকগুলো কুচি করে কেটে একটি পাত্রে তুলে রাখুন। তারপর চিংড়িগুলো ভিতর দিয়ে ভালোভাবে নুন এবং হলুদ মাখিয়ে নিন। তারপর গ্যাসে কড়াইয়ে বসিয়ে তাতে পরিমাণ অনুযায়ী তেল দিয়ে দিন। তেলটা গরম হয়ে আসলে চিংড়ি মাছগুলো কড়াইয়ে দিয়ে দিন।
তারপর চিংড়ি মাছগুলো ভালোভাবে নেড়ে লাল করে ভেজে নিন। তারপর কড়াইয়ে কড়াই থেকে চিংড়ি মাছগুলো একটি পাত্রে তুলে নিন। এরপর সেই তেলেই দিয়ে দিন পেঁয়াজ কুচি। তারপর কড়াইয়ে দিয়ে ১০-১২ টা কাঁচা মরিচ চিরে দিয়ে দিন। এরপর সবগুলো উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে সামান্য ভেজে নিন। পেঁয়াজ কুচি খানিকটা লাল হয়ে এলে কড়াইতে দিয়ে দিন কলমির শাক।
তারপর কড়াইয়ে দিয়ে দিন সামান্য পরিমাণে নুন। তারপর কড়াইয়ে দিয়ে দিন চিংড়ি মাছগুলো। এরপর হাই হিটে ভালোভাবে নেড়ে নিন। খেয়াল রাখবেন শাকগুলো যেন ভালোভাবে চুপসে যায়। তারপর আঁচ কমিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিন। এরপর একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দশ মিনিট রান্না হতে দিন। তারপর শাকগুলো নরম হয়ে এলে কড়াইয়ে দিয়ে দিন ধনে গুঁড়ো।
এরপর সবগুলো উপকরণগুলো ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে মিশিয়ে নিন। তারপর শাকের ভিতরের জল একদম শুকিয়ে এলে নামিয়ে নিন। কিন্তু নামানোর আগে খেয়াল রাখবেন যেত শাকগুলো মধ্যে জল না থাকে। কলমির শাকগুলো একেবারে ঝুরো ঝুরো হয়ে এলে তারপরই গ্যাস থেকে নামিয়ে নেবেন।
ব্যস তাহলেই তৈরি আপনাদের কলমির শাক দিয়ে চিংড়ি মাছ। মধ্যাহ্ন ভোজে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন এই পদটি সবাই চেটে পুটে খাবে।