কার কাছে কই মনের কথা আজকের পর্ব: জি বাংলার (Zee Bangla) যে সমস্ত ধারাবাহিকগুলি শুরু থেকেই দর্শকদের মধ্যে চর্চিত হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম অর্গানিক স্টুডিওর কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha)। শুরু থেকেই ধারাবাহিকটি মন জয় করে এসেছে দর্শকদের। টিআরপি তালিকায় সেইভাবে কোন বিশেষ চমক দেখাতে না পারলেন পরাগ আর শিমুলের জুটি এবং ধারাবাহিকের কাহিনী বারবার চর্চায় এসেছে নেটি দুনিয়ায়।
তবে বর্তমানে বর্তমান দর্শকদের মনে আলোড়ন ফেলেছে শিমুলের ননদ পুতুল। নিজের স্বামীকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে সে। নিজের যোগ্যতা, সাধ্য অনুযায়ী গান গেয়েই সে রোজগার করছে টাকা। ইতিমধ্যেই এনজিও তরফ থেকে আয়োজিত একটি শোতে গান গেয়ে কিছু অর্থ উপার্জন করেছে পুতুল। দিদিকে এইভাবে গাইতে দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেনি পরাগ, শিমুল। তারই মধ্যে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিমুল আর পরাগ। কিন্তু বাড়ি থেকে বেরোনোর আগেই শিমুলের কাছে ফোন আসে হাসপাতাল থেকে।
কার কাছে কই মনের কথা আজকের পর্ব ৪ জুন (Kar Kache Koi Moner Kotha Today Episode 4 June)
হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে শিমুল, পুতুল, পরাগ আর মধুবালা দেবী চলে আসেন হাসপাতালে। ডাক্তার জানান তীর্থর শারীরিক অবস্থা একেবারেই ভালো নয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তীর্থর সার্জারি করতে হবে। যার জন্য লাগবে ২০ লাখ টাকা। জামাইয়ের এই পরিস্থিতি দেখে ভেঙে পড়েন মধুবালা দেবী। ডাক্তার জানায় সার্জারি হলে পঞ্চাশ শতাংশ সম্ভবনা আছে তীর্থ বেঁচে যাবে। সেই কথা শুনে শিমুল বলে সে লোনের ব্যবস্থা করছে আর তাদের গয়না বন্দক দেবে।
তীর্থকে বাঁচাতে বাড়ি বন্দক দিলেন মধুবালা দেবী
তবে পরাগ শিমুলকে জানায় লোনের টাকা দিয়েও সম্পূর্ণ টাকাটা জোগাড় করা অসম্ভব। তখনই জামাইকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন মধুবালা দেবী। তিনি জানান এবার বাড়ি বন্দক দিয়ে বা বাড়ি বিক্রি করে তীর্থর সার্জারির জন্য টাকা জোগাড় করবেন তিনি। মাকে দিশাহারা অবস্থায় দেখে ভেঙে পরাগ, শিমুল। তখনই খোঁজ পড়ে পুতুলের। সকলের বাইরে গিয়ে দেখে আবারও গান গেয়ে টাকা রোজগার করছে পুতুল।
আরও পড়ুন: ব্যাক টু ব্যাক ধামাকা! নতুন ধারাবাহিক নিয়ে ফিরতে না ফিরতেই ফের একটা বড়সড় সুখবর দিলেন মোহনা মাইতি! জানেন কী সেই খবর?
মেয়ের এমন করুন দশা দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি মধুবালা দেবী। বাড়ি ফিরে শিমুল আর পরাগের সঙ্গে বাড়ি বন্দক দেওয়ায় বিষয়ে কথা বলতে থাকেন তিনি। কিন্তু তখনই চলে আসে প্রতীক্ষা। বাড়ি বন্দক দেওয়ার কথা শুনে রেগে যায় সে। মধুবালা দেবীকে সে বলে এরকম কাজ না করতে। কিন্তু প্রতীক্ষার কথায় এবার একেবারেই কর্ণপাত করেননি মধুবালা। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন এই বাড়ি তিনি বন্দক দেবেন। এত চেষ্টা করেও তীর্থকে কি বাঁচাতে পারবেন মধুবালা দেবী, শিমুল আর পুতুল, আপনাদের কি মনে হয়?