কাকুদের কুকীর্তি সামনে আনতেই বর্ষার কাছে ক্ষমা চাইলো আত্মীয়রা! বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে দর্শকদের মন জয় পর্ণার

সমাজকে যতই প্রগতিশীল বলে দাবি করি, এ সমাজ মেয়েদের ভোগ্যপণ্যের চোখে দেখত, আজও বহুক্ষেত্রে মেয়েদের সে চোখে দেখা হয়। সম্মান নেই যৌনকর্মীদের। এমনকি পরিস্থিতির শিকার হয়ে যে মেয়েরা অনিচ্ছাকৃত এই ধরনের নানা অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে গিয়ে পড়ে তাদেরও সমাজ মেনে নেওয়ার আগে নাক কুঁচকোয়। তেমনই নজির মিলল জি বাংলার (Zee Bangla) ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’তে (Neem Phooler Madhu)।

নিম ফুলের মধু আজকের পর্ব ৩০শে জুন (Neem Phooler Madhu Today Episode 30th June)

ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী, অর্ণব বর্ষাকে বিক্রি করে দিয়েছিল পতিতালয়ে। সেখান থেকে বর্ষাকে উদ্ধার করে এনেছে তার বৌদি পর্ণা। সৃজনের সাহায্যে আরও একবার একটি বড় নারী পাচার চক্রকে ধরিয়ে দিয়েছে সে। বর্ষাকে উদ্ধার করে বাড়িতে আনার পর থেকেই একাধিক বার সামাজিক রোষের মুখে পড়েছে বর্ষা।

নিজেকে ঘরে গুটিয়ে নিয়েছে সে। সামাজিক জমায়েত এড়িয়ে চলে। এরমধ্যেই নিমন্ত্রণ আসে এক বিয়েবাড়ির। কৃষ্ণা বারণ করা সত্ত্বেও বর্ষা নিজের ইচ্ছায় বিয়েবাড়িতে দশজনের মধ্যে আসে। আর এসেই কটাক্ষের মুখে পড়ে বর্ষা। সকলে বলে, বর্ষা কোঠা বাড়ি থেকে ফিরে এসেছে। তার সঙ্গে এক টেবিলে খেলে জাত যাবে বাকিদের। তখনই মোক্ষম চালটা চালে আলোকপর্ণা।

আরো পড়ুন: অবশেষে মধুবনীর জীবনে এলো ভালোবাসার ছোঁয়া, মধুবনীকে প্রোপোজ করল ঋক, অবশেষে কি মিহির পাবে পিতার স্নেহ?

যারা বর্ষাকে চরিত্র নিয়ে কটাক্ষ করছেন তাদের সকলের পোল খোলে বর্ষা। একজন ঘুষ নিতে গিয়ে ক্যামেরাবন্দী হন, অন্যজন বাড়ির বউকে অত্যাচার করছেন তা প্রকাশ্যে এসে পড়ে। তৃতীয়জনের কোঠা বাড়িতে অবাড়িত আগমন। পর্ণা সাংবাদিকতার সোর্স ব্যবহার করে এই ভিডিয়োগুলি এককাট্টা করেছে।

ভদ্রবেশে অধিকাংশ মানুষের পোল খুলে যাওয়ায় খানিক অপ্রস্তুতে পড়েছে সকলে। সকলে বর্ষার থেকে ক্ষমা চায়। এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে আগে থাকতেই বন্দোবস্ত করে রেখেছিল পর্ণা। আরও একবার ননদিনীর পাশে দাঁড়িয়ে নিজের বুদ্ধিমত্তার নজির গড়ল পর্ণা।