জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

বাড়িতে বানান মাছের পুর ভরা লাউপাতার বড়া, সন্ধ্যেতে এই ভাজাভুজি খান চায়ের সাথে

সন্ধ্যায় চায়ের সাথে কী খাবেন ভেবে ভেবে হয়রান! তৈরি করুন মাছের পুর ভরা লাউপাতার বড়া। সহজেই এটি তৈরি করে তেলে ভেজেই পরিবেশন করতে পারেন। বেশি সময়ও লাগবে না। ছুটির দিনের সন্ধ্যায় পিৎজা, বার্গার বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের চেয়ে বাঙালি স্বাদের মাছের পুর ভরা লাউপাতার বড়া অনেক বেশি সুস্বাদু। সুস্বাদু এই খাবারটি বানানোও সহজ। আসুন দেখে নিই কীভাবে তৈরি করবেন।

উপকরণ

মাছের পুর ভরা লাউপাতার বড়া তৈরী করতে প্রয়োজন ডাঁটাসহ লাউপাতা ৭-৮টি, বাড়িতে থাকা মাছ (রুই, কাতলা বা ছোট মাছ), একটি বড় পেঁয়াজ কুচি, ৬-৭টি রসুন কুচি, ২টি কাঁচা লঙ্কা কুচি, হলুদ গুঁড়ো, কাশ্মিরী লঙ্কা গুঁড়ো ১ চা চামচ করে, ধনে পাতা কুচি আধা কাপ, কালোজিরে ২ চা চামচ, বেসন ১ কাপ, চালের গুঁড়ো থাকলে ২ চা চামচ, স্বাদমতো নুন, প্রয়োজনমতো জল

রন্ধন প্রণালী

প্রথমে, ডাঁটাসহ লাউপাতাগুলি ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করুন। এরপর বাড়িতে থাকা রুই, কাতলা বা যেকোনো মাছ জলে সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ করার সময় জলে সামান্য নুন ও হলুদ দিন। ৭-৮টি বড়া বানাতে ৩-৪ পিস মাছের টুকরো নিন। মাছ ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে এলে কাঁটা বের করে হাত দিয়ে মেখে নিন। এবার, মাছের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি, লঙ্কা কুচি, রসুন কুচি, ধনে পাতা কুচি, সামান্য হলুদ গুঁড়ো ও লঙ্কা গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।

লাউপাতায় সেদ্ধ মাছের পুর ভরে ভাজা যায়। আবার চাইলে মাছ সেদ্ধ করে কড়াইতে হালকা নেড়ে ঝুরঝুরে করে নিতে পারেন। এর জন্য কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে কালোজিরে ফোড়ন দিন। একে একে রসুন কুচি, লঙ্কা কুচি, পেঁয়াজ কুচি, নুন দিয়ে নেড়ে সেদ্ধ মাছের টুকরো দিন। মাছের কাঁটা বার করে নিতে হবে আগে। ভালোভাবে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না ঝুরঝুরে হয়। সামান্য হলুদ ও লঙ্কা গুঁড়ো দেবেন। সব ভাজা হয়ে এলে ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। এরপর পুরগুলো ছোট ছোট বলের মতো করে রাখুন।

একটি প্লেটে বেসন, কালোজিরে, নুন ও অল্প হলুদ দিয়ে ব্যাটার তৈরি করুন। চালের গুঁড়ো বাড়িতে থাকলে ব্যাটারে মিশিয়ে দিন, এতে বড়া খাস্তা হবে। মাছের পুরের বলগুলো হাত দিয়ে চেপে চ্যাপ্টা করে লাউপাতায় ভরুন। সব পাতায় পুর ভরে গেলে ব্যাটারে ভালোভাবে চুবিয়ে ছাঁকা তেলে ভাজুন। এ পিঠ-ও পিঠ লাল করে ভেজে গরম গরম পরিবেশন করুন।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।