বর্ষার সময় কখনও ইলিশ, কখনও চিংড়ি খাওয়ার ধুম লাগে। ইলিশ যেমন দুই বাংলা জুড়ে জনপ্রিয়, তেমনি চিংড়ির বিভিন্ন পদও দুই বাংলাতেই সমানভাবে জনপ্রিয়। বর্ষার এক দুপুরে যদি চিংড়ি খেতে মন চায়, তাহলে আপনি সহজেই রাঁধতে পারেন পশ্চিম বাংলার জনপ্রিয় একটি পদ, ভুনা চিংড়ি। পশ্চিম বাংলার মালাইকারি, বাটিচচ্চড়ি কিংবা ভাপা খেয়ে বিরক্ত হলে গরম ভাতের সঙ্গে ভুনা চিংড়ি বেশ জমে যাবে। এখানে ভুনা চিংড়ি রাঁধার সহজ প্রণালী দেওয়া হল।
উপকরণ
৫০০ গ্রাম চিংড়ি, ১ কাপ পেঁয়াজ কুচি, ১ চা চামচ রসুন বাটা, আধ চা চামচ আদা বাটা, আধ চা চামচ ধনে গুঁড়ো, আধ চা চামচ জিরে গুঁড়ো, আধ চা চামচ লঙ্কা গুঁড়ো, আধ চা চামচ হলুদ, একমুঠো ধনে পাতা, ২ কাপ সর্ষের তেল, পরিমাণ মতো নুন, ২-৩টি কাঁচালঙ্কারন্ধন
প্রণালী
প্রথমে চিংড়ির খোসা ছাড়িয়ে, মাথা ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। অনেকে চিংড়ি ধুয়ে লেবুর রস বা ভিনিগার মেখে রাখেন, যা চিংড়ির অ্যালার্জির সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে।এবার কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করে চিংড়িগুলো হালকা করে ভেজে তুলে নিন। সেই তেলের মধ্যেই পেঁয়াজ কুচি, আদা ও রসুন বাটা দিয়ে ভালো করে ভেজে নিন। পেঁয়াজ ও রসুন ভাজতে ভাজতে ছোট একটি পাত্রে সমস্ত গুঁড়ো মশলা ও জল মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন।
কড়াইতে মশলার মিশ্রণ দিয়ে ভালো করে কষাতে থাকুন। তেল ছাড়তে শুরু করলে চিংড়িগুলো দিয়ে দিন। পরিমাণ মতো নুন, কাঁচালঙ্কা ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করুন। চিংড়ি সেদ্ধ না হলে সামান্য জল দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। খেয়াল রাখবেন, চিংড়িতে যেন খুব বেশি ঝোল না থাকে। ব্যস, তৈরি আপনার ভুনা চিংড়ি। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন এই মজাদার ভুনা চিংড়ি।