জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক “মিঠিঝোরা” রাই, নীলু ও স্রোতের জীবনের নানা উত্থান-পতন নিয়ে আবর্তিত হচ্ছে। সম্প্রতি গল্পের মোড়ে দেখা গেছে, রাই ও অনির্বাণের ফুলশয্যার দিন কেউ একজন একটি উপহার রেখে যায়, যার মধ্যে রাই ও শৌর্যের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ছিল। নীলু এই ছবিগুলি শৌর্যকে দেখিয়ে সত্যি প্রকাশ করে। শৌর্য পরে এই সত্যি গিয়ে অনির্বাণকে জানায়।
ধারাবাহিকে দেখা গেছে, রাইয়ের বৌদি যখন তার বাচ্চাকে স্কুল থেকে নিয়ে ফিরে আসে, তখন কাঁদতে কাঁদতে জানায়, তাদের স্কুলের সামনে চারমাথার মোড়ে একটি মেয়ে নীল শাড়ী পড়ে আত্মহত্যা করেছে। রাইয়ের মা, বৌদি, স্রোত ও অনির্বাণ মিলে রাইয়ের দেহ শনাক্ত করে। নন্দিতা দেবী নিজেকে মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী মনে করে, এবং পুলিশকে অনুরোধ করে তাকে ও অনির্বাণের পরিবারকে গ্রেফতার করতে।
রাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে নীলু ভীষণভাবে কাঁদতে শুরু করে। শৌর্য তখন নীলুকে দোষারোপ করে বলে, তোমার সবচেয়ে বড় শত্রু তো আজ মারা গেল, নিশ্চয় খুশি হচ্ছো। নীলু কাঁদতে কাঁদতে ভাবে, দিদিভাই, তুই আমাকে নিজের ভুল শুধরে নেওয়ার সময় দিলি না। এদিকে, অনির্বাণকে ধরতে পুলিশ আসে বাড়িতে। ঠিক সেই মুহূর্তে রাই অনির্বাণের বাড়িতে ফিরে আসে এবং সমস্ত চার্জ থেকে মুক্তি পায় অনির্বাণ। রাই জানায়, সে তার বন্ধুর বাড়িতে ছিল এবং খবর কাগজে সংবাদটি দেখে ফিরে এসেছে।
“মিঠিঝোরা” ধারাবাহিকের আগামী পর্বে দেখা যাবে, রাই বলছে, আমার কাজ ছিল বিপদের দিনে অনির্বাণের পাশে এসে দাঁড়ানো, আমি দাঁড়িয়েছি, একলা ফেলে পালিয়ে যাইনি। সবাইকে ভালো থাকতে বলে রাই বিদায় নিতে চায়। তখন অনির্বাণ রাইকে ধরে বলতে থাকে, প্লিজ যেও না। আমি জানি তুমি আমার একটাও কথা শুনতে চাও না, তবুও আমি তোমাকে অনুরোধ করছি আমার কথাগুলো বলার একটা সুযোগ দাও।
আরও পড়ুন: চিনির কাছে প্রত্যেক সপ্তাহে স্লট জিতেও প্রথম পাঁচে ঢুকতে অক্ষম মিঠিঝোরা! টান টান কাস্ট, গল্পের পরও কেন ব্যর্থ জনপ্রিয় ধারাবাহিক?
অনির্বাণ কাঁদতে কাঁদতে রাইকে ক্ষমা চাইতে থাকে। ঠিক সেই মুহূর্তে, রাই ডিভোর্স পেপার ছুঁড়ে মারলো অনির্বাণের মুখে। কি ঝড় আসতে চলেছে রাই-অনির্বাণের সম্পর্কে? রাই ফিরে এসেও দূরে যাবে অনির্বাণের!কি হতে চলেছে আগামীতে, জানতে হলে দেখতে হবে ধারাবাহিকটি (Mithijhora)।