জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

বাবা-মা দিদিকে হারিয়ে মাদকের নেশায় জর্জরিত হয়ে পড়েন অভিনেতা শুভঙ্কর সাহা! জীবনদান করেন স্ত্রী

মাদকের নেশায় জর্জরিত হয়ে গিয়েছিল অভিনেতা শুভঙ্করের (subhankar Saha) জীবন। স্ত্রীর অনুপ্রেরণায় আবারও অভিনয়ে ফিরেছিলেন অভিনেতা শুভঙ্কর সাহা। জি বাংলার (Zee Bangla ) তুমি রবে নীরবে(Tumi robe nirobe),জড়োয়ার ঝুমকো (jarowar jhumko) ধারাবাহিকে অভিনয় করেন তিনি। এরপর তার জীবনে এক ভয়ঙ্কর ঝড় আসে যে ঝড় তছনছ করে দেয় তার সাজানো জীবন। মাদকের নেশায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক তুমি রবে নীরবে ধারাবাহিকে মূক চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শুভঙ্কর। এরপর জড়োয়ার ঝুমকো ধারাবাহিকের তার অভিনয় ছিল তাক লাগানোর মত। এই দুই ধারাবাহিকে জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্যের বিপরীতে তার অভিনয় দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছিল।

image 8

কিন্তু এরপর তার জীবনে পরপর শোক আসতে শুরু করে। ২০১৬ সালে নিজের মা, বাবা, দিদিকে হারান শুভঙ্কর। ২০১৬তে ব্রেন স্ট্রোকে অভিনেতার মায়ের মৃত্যু হয়। এর ঠিক তিন মাস পরে মারা যায় অভিনেতার বাবা। আবার সেই বছরই মৃত্যু হয় তার দিদির একই বছর পর পর তিনটে শোক সামলাতে পারেননি অভিনেতা।

একটি শো তে এসে অভিনেতা বলেছিলেন,“সে এক কঠিন সময়। তার কয়েক মাস আগে আমার দিদিকেও হারাই। একসঙ্গে তিন জনের চলে যাওয়া মেনে নেওয়া খুব শক্ত। অবসাদ গ্রাস করেছিল আমায়। কোনও দিশা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। সেই অন্ধকার জায়গা থেকে বার হওয়ার জন্য হাত ধরে আমার স্ত্রী। বনানী পাশে ছিল, তাই ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি।”

সেই সময় মাদকের নেশায় ক্রমশ মেজাজ হারাতেন অভিনেতা। আপনজনদেরও চিনতে পারতেন না তিনি। সেই সময় তার স্ত্রী বনানী যোগ্য সহধর্মিনীর মত তাকে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে অনুপ্রেরণা দেন। একটা নয় পরপর সাতটা রিহ্যাবে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। এরপর মনের জোরে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন অভিনেতা।

image 10

এরপর নতুন করে আবার কাজ শুরু করেন অভিনেতা, কালার্স বাংলার ত্রিশূল ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি বরণ ধারাবাহিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাইড রোলে অভিনয় করেন শুভঙ্কর ও একবছর আগে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘তোমার খোলা হাওয়া’তে‌ও হিরোর চরিত্রে ফিরে আসেন শুভঙ্কর। এই ধারাবাহিকে স্বস্তিকা দত্ত তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।