‘দুই শালিক’-এর (Dui Shalik) গল্পে এলো নতুন মোর। ছাতার ব্যবসা খুব সাফল্যের সঙ্গে আগামী দিনে এগিয়ে চলেছে এই স্বপ্নই দেখাচ্ছে গৌরব। এই সময় গৌরব গার্গীকে বলে, “তুই যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন একটা ভালো প্লাটফর্ম তৈরী করেছিস, তখন তোর একটা বড়োসরো দায়িত্ব থাকবে”। গৌরব আরও বলে, “তুই খুব ভালোভাবে ছাতার ভিডিও গুলো পোস্ট করবি”। এই শুনে গার্গী বলছে, “আরে হ্যা, তুই চিন্তা করিস না। আমি ভিডিও ছাড়লে কুড়ি-পঁচিশ হাজার ভিউজ চলেই আসে”।
এরপর, ঝিলিক বলে “সত্যি, আমার তো খুব আনন্দ হচ্ছে এটা ভেবে যে আমরা সবাই মিলে নিজেদের প্রচেষ্টায় ছাতা বানিয়ে এই ছাতার বিজনেসটা আবারও রিওপেন করতে পেরেছি”। এইসব দেখে জেঠু বলে “আগে যারা ছাতা নিত সেই দোকানগুলো চিনি। আমি কি একবার গিয়ে তাঁদের দোকানে দোকানে বলবো?” এই শোনা মাত্রই গৌরব সেই পুরোনো দোকান গুলোকে নিয়ে চিন্তা করে ওঠে তাঁরা ছাতা নেবে কি নেবে না। গৌরব বলে, আগে এই ব্যবসার জন্য সোশ্যাল পেজ তৈরী করতে হবে। এখন এই মার্কেটিংটা ভালো করে করতে পারলে তবেই তাঁদের সেল হবে।
এই সময় ঝিলিক পিসিমণিকে বলে, “কী পিসিমণি এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কী শুনছেন?” এই শুনে পিসিমণিও বলে তিনি এমনিই দাঁড়িয়ে আছে। এরপর পলি চলে যায় প্রিয়রঞ্জনকে খবর দিতে। অন্যদিকে আঁখির জন্য রাস্তার গুন্ডার সঙ্গে ঝামেলা করেছে দেবা। রেগে গিয়ে আঁখি দেবাকে বলে যে এই ধরনের ঝামেলা করতে বারণ করে এবং সে মারপিট পছন্দ করেনা। তখন দেবা আঁখিকে জিজ্ঞাসা করে ওঠে তুমি ওই বাড়ির মানুষগুলোর সঙ্গে কেন কথা বলছিলে? আঁখি তখন বলে “তুমি এই ভাবে ওদেরকে অপমান করতে পারো না”। কারণ, ছোটবেলা থেকে ওই বাড়িতে থেকেই খেয়ে পড়ে বড় হয়েছে। আঁখি দেবার কথোপকথনের পর আঁখি ঝিলিকের দেওয়ার টিফিন বক্স খুলে দেখে সে খাবার পাঠিয়েছে।
অন্যদিকে নীলিমা ঝিলিককে খাবারগুলো খেলাই দিদিমণিকে দিতে বলায়, ঝিলিক বলে সব খাবারগুলো দিয়ে দিয়েছে। এরপর ঝিলিকের মনের মধ্যে সংসার চলতে দেখতে পাওয়া যায়। মনে মনে ঝিলিক বলছে, “দেবা যে এভাবে আঁখিকে নিয়ে গেল ওদের মধ্যে আবার কোনো ঝামেলা হচ্ছে না তো?” আবার সিরিয়ালের দৃশ্যে দেখা যায়, আঁখি কোন রান্না না করাতে দিবার জিজ্ঞাসা করে ওঠে এই খাবারগুলো কোথা থেকে এসেছে। ঝিলিকের দেওয়া খাবার শুনে আঁখিকে কথা শোনাতে থাকে দেবা বলে, “ওরা দিল আর তুমি নিয়ে চলে এলে?”। আবার অন্যদিকে দেখা যায় দিবা মাটিতে ঘুমোতে দেখে আঁখি জিজ্ঞাসা করে ওঠে কেন সে মাটিতে ঘুমাচ্ছে?
আরও পড়ুনঃ বাস্তব জীবনে বিয়ের পিঁড়িতে আদরের বাবু! অবশেষে বাবুর বৌকে মনে ধরেছে মায়ের!
এই দেখে আঁখিও দেবার পাশে মাদুর পেতে শুয়ে পড়ে। অন্যদিকে রাত হতেই পলি প্রিয়রঞ্জনকে সমস্ত কথা বলে দেয়। প্রিয়রঞ্জন বলে, “দুদিনের মেয়ে আঁখি ও যা বাড়াবাড়ি শুরু করেছে, ওকে আমি আর কোনভাবেই ক্ষমা করব না”। অন্যদিকে প্রিয় রঞ্জন মনে মনে ভাবে আঁখি জেনে গেছে যে, তাঁর বাবার নাম অনিমেষ রায়। আর এটাও জেনে গেছে, ওর বাবা আমার কোম্পানির কর্মচারী নয়, আমি ওর বাবার কোম্পানির কর্মচারী। এই সিরিয়ালের পর্ব শেষ দৃশ্যে দেখা যাচ্ছে আঁখি মনে মনে ভাবছি দিবা কেন ওই বাড়িতে সহ্য করতে পারে না? অতীতে কী এমন ঘটেছে যার জন্য দেবা এইরকম ব্যবহার করে?