জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

আমাকে ঠকিয়ে সুড়সুড় করে মায়ের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করে নিল! জয় বিয়ে করতেই বিস্ফোরক সায়ন্তিকা

টলিউড অভিনেতা জয় মুখার্জি (Jay Mukherjee) ও অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sayantika Banerjee) সম্পর্ক একসময় বিনোদন জগতের আলোচিত বিষয় ছিল। প্রায় সাত বছর হয়ে গেল তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে। তাঁদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং তা প্রকাশ্যে আসে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে। সায়ন্তিকা অভিযোগ করেন যে, জয় তাঁর গাড়ি আটকিয়ে তাঁকে হেনস্থা করেছেন এবং তাঁর সহকারীকে মারধর করেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে জয়কে গ্রেফতার করা হয়, তবে পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

বিচ্ছেদের পর সায়ন্তিকা একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “যখন আমি সম্পর্কটাই ছিলাম ওপেনলি বলেছি, কিন্তু আমি প্রবলেমগুলো প্রকাশ্যে জানাতে চাইনি, হ্যাঁ প্রবলেম হয়েছিল তাই আজ একসঙ্গে নেই। এটা এবার একসেপ্ট করতে হবে। আমরা সকলেই ম্যাচিউরড আজ একসঙ্গে নেই কিন্তু কখনোই তার ক্ষতি চাইবো না।”

সায়ন্তিকা জানান, তাঁদের দীর্ঘদিনের সম্পর্কের মধ্যে জয়ের আচরণগত সমস্যার কারণে ফাটল ধরে। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, জয় তাঁর পরিবারকেও হেনস্থা করেছেন। একটি ঘটনায় জয় সায়ন্তিকার মায়ের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন।

অভিনেত্রী বলেন,“আমরা তো একসময় বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলাম, প্রথম দিন থেকেই এমনকি বিচ্ছেদের আগের দিন পর্যন্ত। মোর দ্যান প্রেমিক প্রেমিকা আমরা বেশি বন্ধু ছিলাম। সেখান থেকে আমিও খুব আহত আসলে কি জানেন যে বেশি প্রিয় তার থেকে খুব দুঃখ পেতে হয়।”

সম্প্রতি, সায়ন্তিকার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জন শোনা যায়, বিশেষ করে তাঁর বিয়ে নিয়ে। তবে, তিনি স্পষ্টভাবে জানান যে, বর্তমানে তাঁর বিয়ের কোনও পরিকল্পনা নেই এবং যখন তিনি বিয়ে করবেন, তখন সবাইকে জানিয়ে করবেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, কাজের ব্যস্ততার কারণে বিয়ে নিয়ে ভাবার সময় পাননি।

জয় মুখার্জি তাঁর মায়ের পছন্দ করা মেয়ে আইনজীবি অলিভিয়া ভট্টাচার্যকে বিয়ে করেছেন ২৪শে জানুয়ারি। তবে, সায়ন্তিকার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতির পর তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিভিন্ন জল্পনা-কল্পনা চলতে থাকে। উল্লেখ্য, সায়ন্তিকা ও জয়ের সম্পর্কের অবনতি এবং পরবর্তী ঘটনাবলী টলিউডে বেশ বিতর্কের সৃষ্টি করে। তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের এই ঘটনাগুলো মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচিত হয় এবং ভক্তদের মধ্যেও কৌতূহলের কারণ হয়।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।