জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

দারুন মুহূর্ত! লোকসংগীতের সুরে ৮৩-তে মঞ্চ মাতালেন চান্দ্রেয়ীর মা! ইমনের গানে নাচলেন বর্ষীয়ান পূর্ণিমা ঘোষ, মুগ্ধ নেট পাড়া

বাংলার সংগীত ও সংস্কৃতির জগতে বহু প্রতিভাবান শিল্পীর দেখা মেলে, যারা তাদের কাজের মাধ্যমে দর্শক ও শ্রোতাদের মন জয় করে নিয়েছেন। বাংলা সংগীতজগতের এমনই একজন জনপ্রিয় শিল্পী ‘ইমন চক্রবর্তী (Iman Chakraborty)‘, যার কণ্ঠের জাদু শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যায় বারবার। ২০১৭ সালে ‘প্রাক্তন’ ছবির ‘তুমি যাকে ভালোবাসো’ গানটির জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি এখন বাংলা গানের অন্যতম আইকন হয়ে উঠেছেন।

আধুনিক গান থেকে লোকগীতি— সব ক্ষেত্রেই তার সাবলীল উপস্থিতি তাকে আলাদা করে তোলে। অন্যদিকে, টলিউডের অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেত্রী ‘চান্দ্রেয়ী ঘোষ’ (Chandreyee Ghosh) বহু বছর ধরে ছোট ও বড় পর্দায় নিজের অভিনয় দক্ষতা প্রমাণ করে চলেছেন। কিন্তু তার পরিবারের আরও একজন সদস্য রয়েছেন, যিনি নিজেও সংস্কৃতিচর্চার সঙ্গে যুক্ত, যদিও এতদিন তিনি লাইমলাইট থেকে খানিকটা দূরেই ছিলেন। এবার তিনিই খবরে এলেন, আর তার পারফরম্যান্স দেখে বিস্মিত নেটিজেনরা।

image 20

সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে মঞ্চে নাচতে দেখা গেল প্রবীণ নৃত্যশিল্পী ‘পূর্ণিমা ঘোষ’কে (Purnima Ghosh), যিনি শুধুমাত্র চান্দ্রেয়ীর মা-ই নন, নিজেও একসময় সংস্কৃতির জগতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি নাচলেন জনপ্রিয় লোকগান ‘সোহাগ চাঁদ’ এর তালে, আর সেই মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই দর্শকদের উচ্ছ্বাসে ভাসল। ৮৩ বছর বয়সে তার এই পারফরম্যান্স প্রমাণ করল, নাচ ও সৃষ্টিশীলতার প্রতি ভালোবাসার কোনো বয়স হয় না।

এই দৃশ্য দেখে ইমন চক্রবর্তী নিজেও মুগ্ধ হয়ে যান এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও শেয়ার করে পূর্ণিমা ঘোষকে শ্রদ্ধা জানান। ক্যাপশনে লেখা— ‘কী সুন্দর! চান্দ্রেয়ী আন্টিকে আমার প্রণাম জানাস।’ নেটিজেনদের প্রশংসায় ভরে গেছে কমেন্ট সেকশন। কেউ বলছেন, ‘এই বয়সে এমন প্রাণবন্ত নাচ, সত্যিই অসাধারণ!’, আবার কেউ লিখছেন, ‘প্রবীণদের মধ্যে এমন এনার্জি ও ভালোবাসা থাকাটাই অনুপ্রেরণার।’

এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করল, শিল্পচর্চার জন্য কোনো নির্দিষ্ট বয়সসীমা নেই। যদি মনে জোর থাকে, তবে ৮৩ হোক বা ১৮— প্রতিটি মুহূর্তেই সৃষ্টি করা যায় এক নতুন ইতিহাস! পূর্ণিমা ঘোষ শুধু নাচেননি, তিনি যেন নাচের মাধ্যমে এক অনুপ্রেরণার গল্প তুলে ধরেছেন। জীবনের শেষ অধ্যায়েও কীভাবে আনন্দ, সৃষ্টিশীলতা এবং উচ্ছ্বাসকে বাঁচিয়ে রাখা যায়, সেটাই যেন তিনি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন।

Piya Chanda