আন্তর্জাতিক নারী দিবস (International Women’s Day) কেবল একটি দিন নয়, এটি নারীর ক্ষমতায়ন, সংগ্রাম ও সাফল্যকে স্বীকৃতি দেওয়ার এক বিশেষ উপলক্ষ। সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীরা তাঁদের মেধা, পরিশ্রম ও প্রতিভার মাধ্যমে নিজেদের স্থান তৈরি করেছেন। অভিনয় জগতে এমন অনেক নারীর অবদান রয়েছে, যারা শুধুমাত্র বিনোদন জগতেই নয়, সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
তেমনই একজন অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Koneenica Banerjee)। টেলিভিশন থেকে সিনেমা— দুই মাধ্যমেই তিনি নিজের প্রতিভার সাক্ষর রেখেছেন। ‘হামি’, ‘অন্দরমহল’, ‘মুখার্জি দার বউ’ কিংবা ‘আয় তবে সহচরী’— একের পর এক জনপ্রিয় ছবি ও ধারাবাহিকে অভিনয় করে তিনি দর্শকের মন জয় করেছেন। শুধু অভিনয় নয়, তাঁর ব্যক্তিত্বেও রয়েছে আত্মবিশ্বাস ও স্বকীয়তা। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, ভালো অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি একজন স্বাধীনচেতা নারী এবং মা হওয়াও কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
নারী দিবস প্রসঙ্গে কনীনিকা মনে করেন, এই দিনটি শুধুমাত্র উদযাপনের জন্য নয়, বরং নারীদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর একটি সুযোগ। তাঁর মতে, প্রতিটি নারীকে সম্মান জানানো উচিত শুধুমাত্র নারী দিবসে নয়, বরং প্রতিদিন। তিনি বিশ্বাস করেন, নারীর ক্ষমতায়ন তখনই প্রকৃত অর্থে সফল হবে, যখন নারী-পুরুষ সমান সুযোগ ও অধিকার ভোগ করবে এবং একে অপরকে সম্মান করবে।
অভিনেত্রীর মতে, আজও এমন বাড়ি আছে যেখানে নারীদের দুবেলা দুমুঠো খাওয়ার ঠিক করে জোটেনা কিন্তু খাটনি সমপরিমাণ করতে হয়। তিনি বলেন, “শুধু যে নিম্নবিত্ত বা গরিব পরিবারেই এমনটা হয় সেটা কিন্তু নয়। বরং সমাজের নাম করা পরিবার অথবা প্রচুর এমন উচ্চবিত্ত সম্ভ্রান্ত পরিবার রয়েছে, যেখানে নারীর সাথে এমনটা প্রতিনিয়ত হয়ে চলেছে। নারীকে সেখানে পরিচারিকার থেকেও বাজে দুর্ব্যবহার পেতে হয়।”
আরও পড়ুনঃ যে সে ধারাবাহিক করেন না! যা করেন তা ৩-৪ বছর চলে! পল্লবীই আসলে ‘টেলি কুইন’, বলছে রেকর্ড
অভিনেত্রীর মতে, নারী সইতে সইতে এটাও সহ্য করতে শিখে গেছে। তাই এই সমস্ত ঘটনা সবার সামনে আসেন। পুরুষদের অভ্যাসের দাস বলে তিনি কটাক্ষ করেছে। তিনি মনে করেন নারী যেহেতু নিজের হয়ে আওয়াজ তোলেনা পুরুষ অভ্যাস পরিবর্তন না করেই আজীবন স্বৈরাচারিতা ও পিতৃতান্ত্রিকতা চালিয়ে যাচ্ছে। আন্তরজাতিক নারী দিবসের দিনে এইরূপ অকুপদ মন্তব্য ভবিষ্যতে নারী প্রেরণা হবে এমনটা ভাবেই যায়।