জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“উত্তেজনা থেকেই হয়ত এমন মন্তব্য, রুক্মিণী নিজেও পরে বুঝবে”! ও আমার থেকে অনেক জুনিয়ার তো! বড় দিদির মতো করেই রুক্মিণীকে জবাব দিলেন শুভশ্রী!

টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় (Subhashree Ganguly) ফের বড় পর্দায় ফিরে আসছেন এক নতুন চরিত্রে। সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherji) পরিচালিত ‘লহো গৌরাঙ্গের নাম রে’ (Lawho Gouranger Naam Re) ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে। সিনেমার প্রথম ঝলক প্রকাশ্যে আসতেই দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়েছে। বিশেষত, শুভশ্রীর অনুরাগীরা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছিলেন তাঁর নতুন সিনেমার জন্য। ছবির পোস্টার লঞ্চ অনুষ্ঠানে শুভশ্রী ঐতিহ্যবাহী পোশাকে ধরা দেন এবং স্পষ্ট জবাবে সব বিতর্কের ইতি টানেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে।

এই ছবিতে শুভশ্রী ছাড়াও থাকছেন পার্নো মিত্র, ইশা সাহা, দর্শনা বণিক, দিব্যজ্যোতি দত্তের মতো অভিনেতারা। সৃজিতের সিনেমা মানেই একটি বিশেষ গল্প বলার ধরন, আর সেই কারণেই ‘লহো গৌরাঙ্গের নাম রে’ নিয়েও কৌতূহল তৈরি হয়েছে। তবে ছবির গল্প শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক নয়, এতে ঐতিহাসিক এবং সামাজিক উপাদানও যুক্ত রয়েছে। পোস্টার লঞ্চের সময় কলাকুশলীদের গলায় ‘লহো গৌরাঙ্গের নাম রে’ লেখা উত্তরীয় ছিল, যা সিনেমার মূল ভাবনাকে আরও উজ্জ্বল করেছে।

সম্প্রতি, এই ছবি নিয়ে বেশ কিছু বিতর্ক দানা বেঁধেছে। রুক্মিণী মৈত্র (Rukmini Maitra) অভিনীত ‘বিনোদিনী’ (Binodini) সিনেমার মুক্তির পর রুক্মিণী এক সাক্ষাৎকারে জানান, সৃজিত নাকি তাঁকে নিয়েই ‘লহো গৌরাঙ্গের নাম রে’ বানাতে চেয়েছিলেন। এমনকি, তাঁর দাবি ছিল যে এই সিনেমার পরিকল্পনা ‘বিনোদিনী’ থেকে অনুপ্রাণিত, পরিচালক রাম কমলের পর্যন্ত ঋতুপর্ণ ঘোষ আর বনশালির মিশেল বলে দাবি করেন তিনি। তবে এই বক্তব্যের পরই পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, তাঁর ছবি ২০১৯ সালেই পরিকল্পিত হয়েছিল এবং এটি সম্পূর্ণ আলাদা একটি প্রজেক্ট।

শুভশ্রী নিজেও এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে জানান, “আমি বিগত পাঁচ বছর ধরে এই সিনেমার সঙ্গে যুক্ত। এর মধ্যেই আমি দু’বার মা হয়েছি, শারীরিক পরিবর্তন এসেছে, তাই কাজ শুরু করতে সময় লেগেছে। সৃজিত মুখোপাধ্যায় একজন অভিজ্ঞ পরিচালক, তাঁর কারও অনুপ্রেরণার প্রয়োজন নেই।” শুধু তাই নয়, বিতর্কের জবাবে শুভশ্রী বলেন, “রুক্মিণী নিশ্চয়ই ‘বিনোদিনী’তে দারুণ অভিনয় করেছে। আর রাম কমলের এটি প্রথম বাংলা ছবি, উত্তেজনা তো থাকবেই। আমরা যখন কোনও ছবি করি, তখন নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। আর যদি দর্শক প্রশংসা করেন, তাহলে সেই উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।

হয়তো সেই আবেগ থেকেই রুক্মিণী এমন মন্তব্য করেছে, তবে আমি মনে করি, ও নিজেও পরে বুঝবে। তাই এই বিতর্ক আর না বাড়ানোই ভালো।” পরিচালক সৃজিতও স্পষ্ট জানান, তাঁর সিনেমায় শ্রীচৈতন্যকে কেন্দ্র করে তিনটি ভিন্ন সময়কাল দেখানো হবে, যেখানে বিনোদিনী শুধুমাত্র একটি অংশ মাত্র। শুভশ্রী ও সৃজিতের জুটি এর আগেও বক্স অফিসে ম্যাজিক দেখিয়েছে, এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই আশা করছেন অনুরাগীরা। এই সিনেমার হাত ধরে শুভশ্রী নতুনভাবে কামব্যাক করছেন, যা নিঃসন্দেহে বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।

Piya Chanda