সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছে দেবা। স্টার জলসার দুই শালিক’ (Dui Salik) ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখা যাবে, সুস্থ হয়ে দেবা বাড়িতে ফিরে এলে বাড়ির সবাই খুশি হয়ে যায় আর ঠাকুমা বলে যে তার শিবরাত্রির সলতে চলে এসেছে। এই সময় রাইমা মনে মনে ভাবতে থাকে সে দেবাকে দিয়ে এখন অনেক কিছুই করতে পারে।
এরপর ঝিলিক দেবাকে ঘরে যাওয়ার কথা বলছে কারণ সেখানে আঁখি অপেক্ষা করছে। এরপর, পল্টুও চলে যায় কিন্তু ওই বাড়িতেই চার আনা থেকে যায়। এরপর, দেবার এই বাড়িতে প্রথম আসা এবং তার পরের সব স্মৃতি মনে পড়ে যায়। অন্যদিকে ঝিলিক ঘরে গিয়ে মনে মনে ভাবতে থাকে সেই সিঁদুর পড়বে কি পড়বে না? অনেকদিন হয়ে গেল গৌরবের কোন খোঁজ পাচ্ছে না ঝিলিক।

এইজন্যেই ঝিলিক গৌরবের ফটো নিয়ে কান্নাকাটি করে থাকে এবং সেই যে তাকে হারিয়ে ফেলবে তা কখনোই ভাবতে পারেনি। গৌরবকে ছাড়া ঝিলিক একটা দিনও ভালো থাকতে পারছে না। এমন সময়তেই আবার ঝিলিক মনে মনে ভাবতে থাকি গৌরব তার সামনে এসেছে ও তার সঙ্গে কথা বলতে থাকে। এরপর নীলিমা এসে দেখে গৌরবের জামা আঁকড়ে ধরে কাঁদছে ঝিলিক।
নীলিমা এসে ঝিলিককে বলে সে গৌরবের জন্য অনেক চিন্তা করছে এবং মনে আশ্বাস দেয় যে তারা এই কঠিন সময়টা ঠিক পার করেই উঠবে আর গৌরবও একদিন ঠিক ফিরে আসবে। এরপর নীলিমা পুরনো কথা টেনে বলতে থাকে যখন ঝিলিককে প্রথম দেখেছিল তখন তাঁকে চর মেরেছিল এবং ভুল বুঝেছিল এই ভেবে আফসোস করতে থাকে নীলিমা। এমন কেউ বলে তার যে একটা সুন্দর মন আছে সেটা একমাত্র বুঝেছিল গৌরব।
এরপর ঝিলিক একটা কথাই বলে সে কিছুই চায় না শুধু চায় গৌরব আর আঁখি যেন ফিরে আসে। এমন সময় ঘরে গিয়ে দেবা দেখে ঘর খুব সুন্দর ভাবে সাজানো গোছানো রয়েছে আর ঘরের প্রতিটা জিনিস দেখে স্মৃতিচারণা করতে থাকে। এরপর দিবা আঁখিকে খুঁজতে খুঁজতে নীলিমার কাছে পৌঁছে গেছে। এমন সময় রান্নাঘরে নীলিমা পায়েস বানাচ্ছিল। সেই সময় নীলিমা দেবাকে জিজ্ঞাসা করে সে কি খেতে ভালোবাসে? এরপর নীলিমা দেবাকে পায়েস খেতে দেয় আর সেই সময় দেবা তাকে মা বলে ডাকায় খুব খুশি হয় নীলিমা।
আরও পড়ুনঃTRP-র সিংহাসনে মজবুত পরিণীতা! ফুলকি-জগদ্ধাত্রী কি এবার মুখ থুবড়ে পড়ল? করুন অবস্থায় রাঙামতি-পরশুরাম!
এরপর পায়েস খেতে খেতে দেবা গৌরবের খোঁজ করতে থাকে আর অন্যদিকে ঝিলিক ভাবে সে কি করে এই অবস্থায় আঁখি হয়ে অভিনয় করবে? কিন্তু এদিকে ডাক্তার বলেছিল অসুস্থ দেবার সামনে যদি তার প্রিয় মানুষকে দাঁড় করানো যায় তাহলে সে অনেক তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে এই কথাই মনে মনে ভাবতে থাকে ঝিলিক। এমন সময়ে দুলাল কথা বলতে থাকে ম্যাজিশিয়ানের বউয়ের সঙ্গে আর বলে আঁখি এই কয়েকদিনে বেশ ভালই ম্যাজিকটা শিখে নিয়েছে। এরপরই আঁখি রান্নাঘরে এসে যাওয়াতে ম্যাজিশিয়ানের বউকে সরিয়ে সে নিজে থেকেই রান্না করতে চায়। এমন সময় ম্যাজিশিয়ান বলে ‘তোর কাজ রান্না করা নয়, তোর আরো অনেক বেশি বড় দায়িত্ব রয়েছে। তোর কাজ আরো সব কিছু বেশি করে রপ্ত করা। যত বেশি রপ্ত করতে পারবি তত তাড়াতাড়ি তোর বাবার বদলা নিতে পারবি’।