জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ফুলকি’ (Phulki) এক সাহসিনীর গল্প, যার নাম ফুলকি দাস। ছোটবেলা থেকেই প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে সে ধীরে ধীরে নিজেকে গড়ে তুলেছে একজন দক্ষ বক্সার হিসেবে। তার এই স্বপ্নপূরণের যাত্রা, লড়াই আর জেদ দর্শকদের মন ছুঁয়ে যাচ্ছে। ধারাবাহিকে ফুলকির চরিত্রে অভিনয় করছেন দিব্যাণী মণ্ডল (Devyani Mondal), আর নায়কের ভূমিকায় রয়েছেন অভিষেক বসু (Abhishek Bose)। শুরু থেকেই ধারাবাহিকটি টিআরপি-র দৌড়ে ভাল ফল করছে এবং সাম্প্রতিক পর্বে এসেছে আরো চমক।
আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় ছিনতাইবাজদের মজা দেখিয়ে ফুলকি লুটপাটের হাত থেকে তার বাবাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। ফুলকির বাড়ি আসতে অনেক দেরি হয়ে যাওয়াতে রোহিত নিজের থেকেই লাগেজ দিয়ে সমস্ত জামাকাপড় বের করে গোছাতে শুরু করে। ফুলকি বাড়ি ফিরতেই তার মুখে আনন্দের বদলে দুশ্চিন্তা দেখে রোহিত জানতে চাইলে ফুলকি সমস্ত ঘটনা খুলে বলে। ফুলকি জানায় তার বাবার নিয়মিত সেই রাস্তা দিয়েই মাল সরবরাহ করে থাকেন। কোনদিনও এমন ঘটনা সেখানে ঘটে না, কাজেই ভবিষ্যতেও যে ঘটবে না এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় ফুলকি।

রোহিত জানায় যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে সেই এলাকাটি সেখানকার রাজ পরিবারের অধীনস্থ এলাকা। সেখানে কোনো রকমের নাকি দুর্নীতি হয় না, কিন্তু ফুলকি কথা শুনে তাঁর চিন্তা হতে থাকে। এরপর ফুলকি জয়ী হওয়া নিয়ে রোহিত খুশি ব্যক্ত করলে, ফুলকি বলে আজকের দিনে তাঁর কাছে সব থাকলেও আর সবার ভালোবাসার জিতে নিলেও মায়ের জায়গা অপূর্ণই থেকে গেল। রোহিতকে আলিঙ্গন করে ফুলকি তাঁর জীবনে মায়ের অপূর্ণতা নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে। ফুলকি আজও জানতে চায় তার মায়ের পরিচয় কি?
এরই মাঝে চৌধুরী মহল বলে একটি রাজবাড়ী দেখানো হয় যেখানে সেই বাড়ির বড় বউ ঘুম পাড়ানি গান গাইছেন এক মনে। সেই মুহূর্তে এক দৃঢ় চরিত্রের আগমন ঘটে, তার কথায় বোঝা যায় তিনি এই বাড়ির বর্তমানে সবচেয়ে প্রভাবশালী সদস্য এবং ছোট বউ, যাকে সবাই “হার হাইনেস” বলে ডাকে। যিনি গান গাইছিলেন সম্ভবত তিনি ছোট বউয়ের চক্রান্তে নিজের স্বামী ও সন্তানকে হারিয়েছেন। বর্তমানে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে যে কাউকে সন্তান হিসেবে আঁকড়ে ধরেন। রাজমহলের ছোট বউ পরিচালিকাদের ডেকে কথা শোনাতে থাকে কেন বড় বউকে ঠিক সময় খাওয়ানো হয়নি।
এরপর বড় বউয়ের কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে নিজের মনে মনে বলে, “এই এস্টেটের উত্তরাধিকারী হতে পারে পরিবারের জ্যেষ্ঠ সন্তান, আর তোমার থেকে স্বামী সন্তান তো আমি অনেক আগেই কেড়ে নিয়েছি। এখন বোধ বুদ্ধিও হারিয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে কি আর তোমায় ফেলে দিতে পারি আজীবন তোমার যত্ন করব।” তাকে আরো বলতে শোনা যায়, তার ছেলেই এই সম্পত্তির ভবিষ্যতের একমাত্র মালিক। এরপর সম্ভবত ম্যানেজার এসে ছোট বউকে জানায় তাদের কোন এক সম্পত্তি নিয়ে আবার সমস্যা দেখা দিয়েছে, ছোট বউ চিন্তিত হয়ে পড়ে এই সমস্যা মেটাতে আরো অনেক অর্থ ব্যয় হবে।
আরও পড়ুনঃ “আমাদের দেখে অনেকে স্বামী-স্ত্রীই ভাবতেন।” ঋষি-অপরাজিতার ‘উজান-হিয়া’ জুটিকে আজও ভোলেনি দর্শক—অপরাজিতাকে ঘিরে পুরনো সস্পর্ক নিয়ে অকপট ঋষি! চিরসখায় এন্ট্রি হবে কী তাঁর?
কিছুক্ষণ পরে ম্যানেজারের কাছে ফোন আসে সেই ছিনতাইবাজদের যারা ফুলকিকে আক্রমণ করেছিল। তারা জানায় আজকে তারা কোনরকম লুটপাট করতে পারেনি এক মেয়ে এসে সব কিছু নষ্ট করে দিয়েছে। ম্যানেজারকে বলতে শোনা যায় ছোট রানী মা জানতে পারলে পরিণতি কিন্তু ভালো হবে না। এর থেকে স্পষ্ট যে রাজ বাড়ির ছোট বউ অনেক রকম কুকর্মের সঙ্গে যুক্ত অতীত তার রহস্যে মোড়া। অন্যদিকে মাকে নিয়ে দুঃস্বপ্ন দেখে ফুলকির আতঙ্কে ঘুম ভেঙে যায়। পর দিন সকালে রায়চৌধুরীরা ঠিক করে রাজবাড়ীতে ঘুরতে যাবে, ফুলকি আনন্দে লাফিয়ে উঠে বলে এতদিন শুধু রূপকথার বইয়ে পড়েছি, এবার সামনে দিয়ে রানী মা কে দেখবো!বড় রানী মা কি আসলে ফুলকির মা? নিজের মাকে পাওয়ার দিকে কি ফুলকি এক ধাপ এগিয়ে গেল?