জি বাংলার ধারাবাহিক ‘ফুলকি’র (Phulki) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় ধানুকে ছাদে নিয়ে গিয়ে ফুলকি একটা ফন্দি আঁটে আদিত্যর মান গলানোর। সবাইকে বলে নিচে গিয়ে এমন ভান করতে হবে যেন কিছু জনেই না। নিচে গিয়ে ফুলকি আদিত্যকে বলে ধানুকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। লাবণ্য এসে ভান করে বলে মন খারাপ নিয়ে ছাদে যায়নি তো! কিছু খারাপ কাজ না করে বসে।
আদিত্য আর নিজেকে সামলে রাখতে পারে না, ছুটে যায় ছাদে। সেখানে গিয়ে দেখে ধানু ঝাঁপ দিয়ে যাচ্ছে, কোনও রকমে তাঁকে সরিয়ে নিয়ে আসে আদিত্য। এরপর ফুলকি ও দলবল গিয়ে জানায় সবটাই তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, দুজনকে কাছে অনার। একান্তে দাঁড়িয়ে এরপর ধানু আর আদিত্য সমস্ত ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নেয়। আনন্দ করে সবাই ধানু-আদিত্যর অষ্টমঙ্গলার বাকি অনুষ্ঠান শেষ করে।

অন্যদিকে রুদ্র খুব অসহ্য হয়ে যাচ্ছে রানীর দয়ার আশ্রয় নিয়ে। খাওয়ার দেখে সে আরও রেগে যায় আর রানীকে কিপটে বলে গালিগালাজ করতে থাকে। কিন্তু রানী ভাবতে থাকে নিজের ভালো থাকার জন্যই হয়তো রুদ্র এরম বলছে। আবার পরক্ষনেই তাঁর মনে হয় যদি সত্যিই উত্তরাধিকারী বেঁচেই থাকে, তবে রুদ্র ছাড়া আর কেউ সেটা জানে না। রানী সিদ্ধান্ত নেয় রুদ্রকে রাজবাড়ির অন্দরে রাখবে।
যদি কোনও ভাবেই উত্তরাধিকারী তাঁর আসল পরিচয় জানতে পেরে যায়, সেই ভয়তে রানি ব্রুদ্রকে ফোন করে বলেন ছদ্মবেশে আর ভিন্ন নাম নিয়ে তাঁকে রাজবাড়িতে ঢুকতে হবে, কিন্তু এখানে এসেই আগে উত্তরাধিকারীর নাম বলতে হবে। রুদ্র শর্তে রাজি হয়ে যায় আর গুরুদেব ‘উদ্দালোক’ সেজে রাজবাড়িতে উপস্থিত হয়, রানী নিজের গুরুদেব বলে সবাইকে পরিচয় দেন।
পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম পর্যন্ত করে রানী, উত্তরাধিকার কে সেটা জানার জন্য। একদিকে ধ্যানে মগ্ন হওয়ার নাটক করে রুদ্র আর রানী বলে এবার তাঁকে বলতেই হবে কে সেই ব্যক্তি, রুদ্র বলে সবাইকে একে একে আশীর্বাদ নিতে আসতে বলতে একটু দূর থেকে। আর যার মাথায় গিয়ে ফুল পড়বে, সেই আসল উত্তরাধিকারী। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই ধানু-আদিত্যকে নিয়ে আসে ফুলকি আর রোহিত।
আরও পড়ুনঃ অল্পেই যাত্রা থেমেছিল ‘যোগমায়া’র, কিন্তু কেরিয়ার নয়! বাংলার পর এবার হিন্দি ধারাবাহিকে নতুন রূপে ফিরছেন নেহা আমনদীপ! কোন ধারাবাহিকে মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে?
গুরুদেব এসেছে শুনে দেখা করতে যায় ফুলকি। সবাই প্রণাম করে আশীর্বাদ নিচ্ছে দেখে, যেই না ফুলকিও আশীর্বাদ চাইতে যায়, রুদ্র ফুল ছুড়ে মারে আর ফুলকির হতে পড়ে সেই ফুল। রানী বুঝতে পড়ে না কী করবেন তিনি, শুধু চোখে মুখে তাঁর আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। রানী রুদ্রকে পরে বলে আরও তথ্য দিতে কিন্তু সবার আগে ডিএনএ টেস্ট করতে হবে। ফুলকিও কি এবার জেনে যাবে নিজের আসল পরিচয়? জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।