জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

নিজের বাবার মুখ দেখেই ভেঙে পড়ল ফুলকি! একটা ছবিই উল্টে দিল সব হিসেব! হারাণ মাঝির মুখে ফাঁস হল ২৪ বছরের গোপন সত্যি! আশ্রমে ছদ্মবেশে রুদ্র! শ্যামাদাস বাউলই ফুলকির বাবা?

জি বাংলার ‘ফুলকি’তে (Phulki) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, হারাণ মাঝি বড় রাজাকে উদ্ধার করার সমস্ত বৃত্তান্ত খুলে বলেন ফুলকি-রোহিতের সামনে। তিনি জানান, একবার ভাটার সময় জাল ফেলেছিলেন মাছের উদ্দেশ্যে কিন্তু জালে আটকা পড়েন একজন সুপুরুষ ব্যক্তি। তাঁকে বাড়ি এনে খানিক সুসৃষা করে জানতে পারেন, উনি জীবিত আছেন।

তৎক্ষণাৎ ডাক্তারকে খবর দেন তিনি। ডাক্তার সবটা দেখে মাঝিকে বলেন পুলিশে খবর দিতে, কারণ সেই ব্যক্তিকে কোনও অবস্থা-সম্পন্ন বাড়ির বলে মনে হচ্ছে। ঠিক তখনই একদল গুন্ডা মাঝির বাড়িতে এসে কোনও দেহ খুঁজে পেয়েছে কিনা জানতে চায়। ইশারায় বড় রাজা কিছু বলতে বারণ করার, মাঝি কিছু পায়নি বলে দেয়। এরপর কোনও বড় বিপদে ফেঁসে যাওয়ার আশঙ্কায় তিনি পুলিশে খবর দিতে যান।

Phulki, Zee Bangla Serial, Zee Bangla, Bengali Serial, New Episode, Upcoming Episode, Devyani Mondal, Abhishek Bose, Sudip Sarkar, Rudrarup Sanyal, ফুলকি, জি বাংলা, বাংলা সিরিয়াল, দিব্যানী মণ্ডল, অভিষেক বসু, সুদীপ সরকার, রুদ্ররূপ সান্যাল, নতুন পর্ব

ফিরে এসে আর ওই ব্যক্তিকে খুঁজে পান না। যদিও তিনি বলেন, ডাক্তারের মুখেই একবার শুনেছিলেন ওই ব্যক্তি নাকি চরণদাস ঠাকুরের আশ্রমে বাউল গান করেন। নিজের বাবার সম্মন্ধে এত তথ্য পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে ফুলকি। তখনই সেখানে লাবণ্য উপস্থিত হয় একটা পেপার কাগজ নিয়ে, যেখানে লাইব্রেরী উদ্বোধনে বড় রাজার ছবি আছে। প্রথমবার নিজের বাবাকে দেখে ফুলকি কান্নায় ভেঙে পড়ে।

রোহিত সিদ্ধান্ত নেয়, আশ্রমে গিয়েই খোঁজ নেবে বড় রাজার। এদিকে ফুলকিরা মরে যাওয়ার আনন্দে মেতেছে রুদ্র। এমন সময় ছোট রানী এসে জানান, ফুলকিরা একেবারে অক্ষত আছে আর বড় রাজার খোঁজে আশ্রমের দিকে যাচ্ছে। রুদ্রর পায়ের তলার মাটি সরে যায়, সে ঠিক করে যেখানেই হোক ফুলকিকে মেরেই ছাড়বে সে। অন্যদিকে ফুলকিরা আশ্রমে গিয়ে বাকিদের সঙ্গে কীর্তন শুরু করে। রুদ্রও ছদ্মবেশে সেখানে উপস্থিত হয়, ফুলকির সব কথা জানতে।

কীর্তন শেষ হতেই বড় রাজার ছবি দেখিয়ে ফুলকিরা জিজ্ঞেস করে, এরম কেউ তাঁর আশ্রমে ছিল বা আছে। তিনি জানান, এমন একজন ব্যক্তিকে তাঁর খুব চেনা। মূলত বাউল গানের দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, নাম শ্যামাদশ বাউল। কিন্তু নিজের অতীতের সব কথা তিনি ভুলে গিয়েছেন। তাই গুপ্ত সাধনায় মগ্ন হয়েছে তিনি, যদি কিছু মনে পড়ে। এতক্ষণ লুকিয়ে রুদ্র সবটা শুনতে থাকে, কিন্তু রোহিত বুঝে গিয়ে ধাওয়া করলেই সে পালিয়ে যায়।

Piya Chanda