জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

রাতের অন্ধকারে ছদ্মবেশে পালাল রোহিত-ফুলকি! নেত্রগ্রামের শ্মশানে অপেক্ষা করছে চরম সত্য! ফুলকির বাবাকে খুঁজে পেল রোহিত! শ্মশানের অন্ধকারে মুখোমুখি রোহিত-বড় রাজা! ফুলকির বাবার আসল পরিচয় সামনে আসবে এবার?

জি বাংলার ‘ফুলকি’তে (Phulki) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় রুদ্র যন্ত্রণার ছটফট করতে করতে রাজ বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়। তার এমন অবস্থা দেখে ছোট রানী উদ্বিগ্ন হয়ে জানতে চাইলে রুদ্র তার মাথায় ক্ষত দেখিয়ে বলে, ফুলকি গুলতি দিয়ে মেরে তার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। রানী ফুলকির বিষয় জানতে চাইলে রুদ্র বলে, চরণদাস ঠাকুরের কাছে কিছু একটা ছবি দেখিয়ে খোঁজ করতে গিয়েছিল ফুলকি।

চরণদাস বলেছেন, নিত্যানন্দ বাউলের দলে এমন একজন লোককে দেখেছেন। মাঝেমধ্যে গান গাইতে আসতেন কিন্তু এখন আর আসেন না, এরপরেই ফুলকি রুদ্রকে ধরে ফেলায় সে আর বাকিটা শুনতে পারেনি। ছোট রানীর সন্দেহ হয় ওই ছবিটা বড় রাজারই ছিল। রুদ্রও স্পষ্ট করে দেয়, খবরের কাগজের অংশ ছিল ফুলকির হাতে। ছোট রানী আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, বড় রাজার অস্তিত্বের খোঁজ ফুলকি পেয়ে গেছে সেটা ভেবে।

Phulki, Zee Bangla Serial, Zee Bangla, Bengali Serial, New Episode, Upcoming Episode, Devyani Mondal, Abhishek Bose, Sudip Sarkar, Rudrarup Sanyal, ফুলকি, জি বাংলা, বাংলা সিরিয়াল, দিব্যানী মণ্ডল, অভিষেক বসু, সুদীপ সরকার, রুদ্ররূপ সান্যাল, নতুন পর্ব

রুদ্রকে তিনি বলেন, বড় রাজা খুব ভালো গান গাইতেন আর সেই সূত্রেই বড় রানীর সঙ্গে তার আলাপ হয়েছিল। ফুলকিকে যে করেই হোক আটকাতে হবে, তাই রুদ্রকে ছোট রানী সর্বক্ষণ ফুলকিকে চোখে চোখে রাখার নির্দেশ দেন। সেই মতো তিওয়ারিকে দিয়ে রায়চৌধুরী বাড়ির বাইরে কিছু লোক লাগায় সে। সকালে রোহিত লক্ষ্য করে, একজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি বাইক নিয়ে তাদের বাড়ির চারিদিকে ঘুরছে।

সবজিওয়ালা থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট দূরত্বে কিছু লোকেদের তাদের বাড়ির দিকে দেখিয়ে ইশারা করছে। এক মুহূর্তেই রোহিত বুঝে যায় ছোট রানী তাদের ওপর নজরদারি রাখছে। এদিকে চরণদাস ঠাকুর ফুলকিকে জানান, শনিচুড়ি অমাবস্যার দিন নেত্রগ্রামে একদল গুপ্ত সাধকরা শ্মশানে জড়ো হয়ে সাধনা করেন। ওখানে গেলে হয়তো বড় রাজার খোঁজ মিলতে পারে। রোহিত বুঝে যায় এমন পরিস্থিতিতে বাড়ি দিয়ে বেরোনো কঠিন হবে।

লাবণ্যকে রোহিত বলে, তার পার্টির দুজন লোককে গাড়ি নিয়ে বাড়ি আসতে। যার একজনের উচ্চতা রোহিতের মতো আর একজনের ফুলকির মতো হবে। সেই মতো তারা বাড়িতে এলে তাদের পোশাক পরেই রোহিত-ফুলকি নেত্র গ্রামের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে, ছোট রানীর পাহারাদারদের নজর এড়িয়ে। ফুলকিকে হোটেলে রেখেই, রোহিত একাই শ্মশানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর সাধক দলেরা এসে উপস্থিত হন।

রোহিত লক্ষ্য করে সব সাধকরা পূজায় ব্যস্ত শুধু একজন দূরে একা বসে রয়েছেন। রোহিত পেপার কাগজটা বের করে তাকে ফুলকির বাবার কথা জানতে চাইবে, ঠিক এমন সময় লক্ষ্য করে কাগজে বড় রাজার ছবি আর ওই সাধকের মুখে অস্বাভাবিক মিল! রোহিতের বুঝতে এক মুহূর্ত লাগে না, এটাই বড় রাজা! এদিকে চরণদাস ঠাকুরের আশ্রমে রুদ্র আক্রমণ করে, ফুলকিদের খোঁজ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সে।

Piya Chanda