জি বাংলায় ‘ফুলকি’র (Phulki) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, যে ফুলকি নিজেকে ধানুর সংসার ভাঙার কারণ হিসেবে দায়ী করছে। রোহিতকে ফুলকি বলে, আদিত্যকে অনুরোধ করতে যেন ধানু দিদিকে ফিরিয়ে নেন তিনি। সেই সময়ে রোহিতের মা এসেও সেই একই কথা বলেন, আদিত্যকে ফোন করে ধানুর হয়ে ক্ষমা চাইতে। তিনি বলেন, ধানুর শশুরবাড়ি হয়তো ভালো না কিন্তু আদিত্য তো ভালো ছেলে।
তাই একটা পরিচয়হীন লোককে বড় রাজা প্রমাণ করতে গিয়ে তাঁর সংসার ভাঙবে, মা হিসেবে তিনি সেটা চান না। রোহিত সবটা শুনে বলে, ধানু একজন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে হিসেবে নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে। তাই ধানুর মতামত না জেনে, সে কোনও পদক্ষেপ নেবে না। রোহিত ফুলকিকে সাহস যোগায়, যে তার এবং মা-বাবার অধিকারের জন্যই ধানু থেকে শুরু করে সবাই লড়ছে।

অন্য কে কী বলে গেল, সেই নিয়ে কষ্ট না পেতে। এদিকে ছোট রানী রুদ্রকে জানিয়ে দেন, যে ওই সাধুই বড় রাজা কিন্তু সেটা কিছুতেই প্রমাণ করতে দেওয়া যাবে না ফুলকিকে। রুদ্রকে তিনি হুমকি দেন, যদি আবার জেলে না যেতে হয় তবে যে করেই হোক এই শেষ সুযোগে বড় রাজাকে মেরে ফেলতে হবে। অন্যদিকে বড় রাজার ঘরে গিয়ে ফুলকি দেখে জানলা খোলা।
আবার কোনও আক্রমণ হতে পারে ভেবে সে জানলা বন্ধ করে দেয়, কিন্তু রাজা রেগে যান। তিনি বলেন, জানলা না খুললে তিনি বাঁচবেন না, তাঁর দম বন্ধ হয়ে আসছে এই ঘরে। বড় রাজা আবার জানলা খুলতেই দেখা যায়, রুদ্রর পাঠানো লোকেরা নজর রাখছে রাজার উপর। এদিকে ধানু বাপের বাড়ি ফিরে এসেছে। তাঁর এই সিদ্ধান্তেই পেছনে কারণ জানতে চান মা।
আরও পড়ুনঃ বহু বছরের পরম্পরায় ছেদ, মনখারাপ ‘রান্নাঘর’ খ্যাত সুদীপার, রথের দিনই পিছিয়ে গেল কাঠামো পুজো!
ধানু জানায়, আদিত্য এমনিতে ভালো হলেও মায়ের কোনও দোষই সে দেখতে পায় না, এমনকি থাকলেও বুঝতেও চায় না। তাই ধানু সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদিত্যর ভুল ভেঙেই ছাড়বে, সেই জন্যই বাড়িতে ফিরে এসেছে সে। এরপর ধানুর মা ফুলকিকে দোষারোপ করতে থাকেন এই পরিণতির জন্য। ফুলকি দৌঁড়ে ঘরে চলে যায় এবং এক কোণে বসে কাঁদতে থাকে। রোহিত লক্ষ্য করে ফুলকির এই অবস্থা, এরপর কী হবে? চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।