জি বাংলার ‘ফুলকি’তে (Phulki) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় ছোট রানী আর রুদ্র এবার প্রাণঘাতী ধাক্কা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ফুলকিকে। এদিকে ফুলকির মন খারাপ, কারণ একদিকে বড় রাজার চিন্তা আর অন্যদিকে ধানুর ফিরে আসার কারণ সে নিজেকে মনে করছে। লাবণ্য কারণ জানতে চাইলে, রোহিত বলে তাঁর মায়ের বলা কথায় ফুলকি নিজেকে ধানুর সংসার ভাঙার কারণ মনে করছে।
এদিকে ধানু সবটা শুনে খুব রেগে যায় নিজের মায়ের উপর। সে আবারও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়, স্বইচ্ছায় বাড়ি ফিরেছে সে। এরপর ফুলকিকে দিয়ে আইনি কাগজে সই করায় ধানু, যাতে এবার ছোট রানীর বিরুদ্ধে মামলা শুরু করা যায়। এরপর দেখা যায় আদালতের চিঠি এসেছে ছোট রানীর কাছে ধানুর তরফ থেকে।

তিনি বিচলিত হয়ে পড়েন, আর আদিত্যকে দুষতে থাকেন নিজের স্ত্রীকে সামলাতে না পারার জন্য। রুদ্রর কাছে গিয়ে ছোট রানী অনুরোধ করেন, যে ভাবেই হোক আদালতে ওঠার আগে যেন বড় রাজাকে নিজের হাতে শেষ করে সে। তারপর ছোট রানী নিজেই ফুলকিকে জোচ্চোর প্রমাণ করে জরিমানা চাইবেন। রুদ্র কথা দেয়, এইবার বড় রাজা শেষ হবেনই।
রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়েছে, সেই সুযোগে তিওয়ারি আর রুদ্র বড় রাজার ঘরে ঢুকে আগুন লাগিয়ে দেয়। মুহূর্তেই সারাবাড়ি সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে, সবাই বেরিয়ে এলেও বড় রাজা আটকে থাকেন ভেতরে। ফুলকি কান্নায় ভেঙে পড়ে, সেই মুহূর্তে দমকল এসে পৌঁছায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বড় রাজাকে কোথাও না দেখে, ফুলকি অসুস্থ হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুনঃ এবার মহালয়ায় নতুন চমক! মহিষাসুরমর্দিনীর রূপে আসছেন ‘গৌরী এলো’ খ্যাত মোহনা মাইতি!
রোহিত এবং বাকিরা তাঁকে সামলানোর চেষ্টা করে। রোহিতের মা বলে, এই জন্যই ছোট রানীর বিরুদ্ধে তাদের লড়াই করতে বারণ করেছিলেন তিনি। পরদিন আদালতে মামলার শুনানি শুরু হয়, কিন্তু বড় রাজার অনুপস্থিতিতে আদালত মামলা খারিজ করে দেবে, ঠিক তখনই ফুলকি রাজাকে নিয়ে হাজির হয়। ছোট রানীর পায়ের তলার মাটি সরে যায়!