ছোটপর্দার পরিচিত মুখ জয়শ্রী মুখার্জিকে আমরা অনেক সময়েই বিভিন্ন ধারাবাহিকে খলনায়িকার চরিত্রে দেখে অভ্যস্ত। তবে বাস্তব জীবনে তিনি একেবারেই আলাদা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের নানা অজানা দিক তুলে ধরলেন তিনি। একদিকে যেমন নিজের স্বামী ভরত কলকে নিয়ে ভাগ করে নিলেন বহু না শোনা স্মৃতি, তেমনই খুলে বললেন তাদের প্রেম ও বিয়ের পিছনের ‘মুভি লাইফ’-এর গল্প।
জয়শ্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যদি তিনি ভরত কলকে না চিনতেন, তাহলে তাকে দেখে কী ভাবতেন? উত্তরে জয়শ্রী অকপটে বলেন, “যেভাবে সাধারণ মানুষ ভাবে, আমিও প্রথমে তেমনটাই ভেবেছিলাম। ও যেভাবে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করত, মনে হতো সত্যিকারের জীবনেও হয়তো এমনই!” তবে পরে তিনি স্বীকার করেন, এই ভাবনা ছিল সম্পূর্ণ ভুল। তিনি আরও বলেন, “অনেকেই বলে, ভরত দার সঙ্গে কথা বলতেই ভয় লাগে। তখন আমি বলি, তোরা গিয়ে কথা বল, বুঝবি একদমই ওইরকম না।”
ভরত কল পর্দায় যতই খলনায়কের চরিত্রে থাকুন না কেন, বাস্তবে তিনি অত্যন্ত উদার, সাহায্যপ্রবণ ও ইতিবাচক মানসিকতার মানুষ — এমনটাই জানান জয়শ্রী। শুধু বাইরের লোকদের প্রতি নয়, ঘরের লোকজনের প্রতিও ভরত সবসময় ইতিবাচক কথাবার্তা বলেন। জয়শ্রীর কথায়, “এই জিনিসটাই আমার কাছে একজন ‘নায়ক’-এর মতো গুণ। তাই আমি বিশ্বাস করি, পর্দার খলনায়ক ভরত, বাস্তবে একজন সত্যিকারের হিরো।”
একটি ধারাবাহিক করতে গিয়েই ভরত-জয়শ্রীর প্রেমের সূত্রপাত। সিরিয়ালের নাম ‘রাজযোটক’। প্রথমে ভরতের স্ত্রী চরিত্রে অভিনয়ের অফার পান জয়শ্রী, কিন্তু বয়সের পার্থক্যের কারণে তিনি রাজি হননি। পরে ‘বড় মামী’ এবং ফাইনালি ‘ছোট মামী’র চরিত্রে জয়শ্রীকে কাস্ট করা হয়। সিরিয়াল চলাকালীনই ধীরে ধীরে সম্পর্ক গড়ে ওঠে দু’জনের মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ ‘‘আপনারা ক’জন বিশ্বাস করবেন জানি না, হয়তো একেই বলে অলৌকিক ঘটনা!”— অদ্ভুত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলেন পর্দার কৌশিকী রূপসা চক্রবর্তী! কী অলৌকিক ঘটনা ঘটলো তার সঙ্গে?
জয়শ্রী থাকতেন দমদমে। প্রতিদিন সিরিয়াল শেষে মেট্রো ধরতে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়তেন। ভরত চেষ্টা করতেন তাঁকে একটু বেশি সময় আটকে রাখতে। সেই দায়িত্বজ্ঞান ও সময়নিষ্ঠা ভরতের চোখে জয়শ্রীর প্রতি ভালোলাগা তৈরি করে। একদিন ভরত সরাসরি জয়শ্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। জয়শ্রী প্রথমে মজার ছলেই নেন কথাটা। পরে ভরত নিজে জয়শ্রীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন। আর সেখান থেকেই শুরু হয় তাঁদের সুখী দাম্পত্য জীবনের এক নতুন অধ্যায়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।