জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“এখন আর ঝগড়াটুকুও হয় না!” “টিটোদা আজকাল খুব চুপচাপ, একেবারেই বদলে গেছেন”— জন্মদিনে স্ত্রী দোলনের চোখে অন্য এক দীপঙ্কর দে! বিজ্ঞান আর নিরবতায় ডুবে জন্মদিন কাটাচ্ছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা! কী জানালেন স্ত্রী?

বয়সের ছাপ শরীরে পড়লেও অভিনেতা ‘দীপঙ্কর দে’-র (Dipankar De) মনটা যেন ক্রমশই আরও কৌতূহলী হয়ে উঠছে। স্ত্রী ‘দোলন রায়’ (Dolon Roy) জানালেন, এখন তাঁদের পড়ার ঘর জুড়ে শুধুই স্যার আইজ্যাক নিউটন থেকে শুরু করে অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের জটিল তত্ত্ব। আগে যিনি আড্ডা ছাড়া চলতেন না, তিনি আজকাল প্রয়োজন ছাড়া বিশেষ কথাই বলেন না! নীরবতার এই অভ্যাস দোলনের কাছে যেমন অবাক করা, তেমনি স্বস্তিদায়কও—কারণ, নিত্যদিনের সামান্য ঝগড়াঝাঁটিরও যেন অবসান ঘটেছে। শুধু বিজ্ঞান বইয়ের মধ্যেই গাঢ় চিন্তায় ডুবে থাকেন স্বামী।

তবে খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে বরাবরের চেনা দীপঙ্কর দে-ই রয়ে গিয়েছেন। ডাক্তারের কড়া ‘নো লিস্ট’টাই তাঁর কাছে সবচেয়ে লোভনীয়! এ নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমধ্যে মৃদু কথা-কাটা-কাটি হয়। দোলন বললেন, আজ স্বামীর জন্মদিন। তাই তাঁদের বাড়ির ‘চিট ডে’, সকাল শুরু হয়েছে লুচি আর পায়েস দিয়ে, দুপুরে পোলাও-­পনির, আর ডেজার্টে বিশেষ অর্ডার করা আইসক্রিম কেক—সবই টিটোদার (দীপঙ্কর) ইচ্ছেমতো। শুধু শনিবার বলে দোলনের নিরামিষ খাওয়ার নিয়ম ব্যতিক্রম হয়নি।

স্বামী অবশ্য নির্দ্বিধায় পছন্দের সব পদই উপভোগ করেছেন। বদলের হাওয়া তাঁর স্বামীর গায়ে অনেকদিন আগেই লেগেছে, জানান দোলন। এক সময়ে যে অভিনেতা জ্যোতিষবিদ্যায় ডিগ্রি নিয়ে অন্যের কোষ্ঠী বিচার করতেন, আজ তিনিই বলছেন—‘‘সব ফাঁকিবাজি!’’ মিঠুন চক্রবর্তীর বড় ছেলে মিমোর ভাগ্য-গণনাও করেছিলেন দীপঙ্কর! আর এখন নিজের ক্ষেত্র ছাড়া আর কোথাও সেই শাস্ত্রে ভরসা করেন না। নতুন জামা কেনার বেলাতেও আগের উতসাহ নেই, আলমারিতে ট্যাগ লাগানো অজস্র পোশাক অযত্নেই পড়ে আছে।

তবু মনের ভিতরে কোথাও একটি পুরনো বিশ্বাস রয়ে গেছে, বেড়াতে বেরোনোর আগের দিন এখনো তিনি নক্ষত্র মিলিয়ে তবে দিনক্ষণ স্থির করেন—কারণ, অতীতে কয়েকবার আকস্মিক বিপদে পড়ার অভিজ্ঞতা তাঁকে সাবধান করে দিয়েছে। সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমেও গুজব রটেছিল, দীপঙ্কর দে অসুস্থ, কাজ করতে পারছেন না—ফলে পরিচালকরাও নাকি তাঁকে ডাকছেন না। দোলন স্পষ্ট জানালেন, এ সব কথার বাস্তবতার সঙ্গে বিন্দুমাত্র যোগ নেই। কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের ওয়েব সিরিজ ‘লজ্জা’ কিংবা পথিকৃৎ বসুর সিনেমা ‘দাবাড়ু’-তে

আরও পড়ুনঃ “এক কোটি টাকার ফ্ল্যাট বা দশ কোটির গাড়ি কিনে দিলে ভালোই লাগবে”, “যত্ন না থাকলে প্রেম থাকে না!, আমার কাছে প্রেমের মানে যত্ন আর সম্মান”— অসফল প্রেম জীবন আর বিয়ে ভেঙে, এবার প্রেমের নতুন সংজ্ঞা দিলেন শোলাঙ্কি!

দীপঙ্করের অভিনয় দেখে সমালোচকদের প্রশংসাই প্রমাণ করে, এখনও ক্যামেরা তাঁকে ঠিক আগের মতোই ভালোবাসে। বিনোদনের বদলে যাওয়া ইকোসিস্টেমে তিনিও গা ভাসিয়ে দিয়েছেন—পছন্দমতো স্ক্রিপ্ট পেলে কাজ করেন, না হলে ব্যক্তিগত সময়কে বই আর সঙ্গীতে ভরিয়ে তোলেন। দোলন বলেন, “দিনের শেষে দীপঙ্করকে দেখা যায় ইজি-চেয়ারে হেলান দিয়ে সেতারের সুরে ডুবে থাকতে। বই পড়ে চোখ ঝলসে গেলে, তিনি বারান্দায়, পথের দিকে চোখ রেখে থাকেন নিঃশব্দে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।