জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

রাই-অনির্বাণের পুনর্মিলন, নিলু-ক্রান্তির নতুন জীবন, তবু সার্থক-স্রোতের শেষটা থেকে গেল অসম্পূর্ণ! শেষ পর্বে আবেগ ছিল, কিন্তু ছিল না সেই কাঙ্ক্ষিত মিলন! তিন বোনের মিলনই হলো না! ‘মিঠিঝোরা’র অন্তিম পর্ব নিয়ে তৃপ্ত নন দর্শকরা!

সালটা ২০২৩, নভেম্বর মাসে শুরু হয়েছিল জি বাংলার পর্দায় ‘মিঠিঝোরা’র (Mithijhora) সফর। টিআরপির দৌড়ে কখনও শীর্ষে পৌঁছতে না পারলেও ধারাবাহিকটি দর্শকদের মনে বেশ জায়গা করে নিয়েছিল। সম্পর্ক, ভাঙন, পুনর্মিলন আর মান-অভিমান ঘেরা এই তিন বোনের গল্প একসময় হয়ে উঠেছিল দর্শকদের রোজকার রুটিনের অংশ। বিশেষ করে রাই-অনির্বাণের রসায়ন দর্শকদের মন কেড়েছিল শুরুতে। তবে শেষদিকে সেই একই সম্পর্ক হয়ে উঠেছিল একঘেয়ে, বহু দর্শক বিরক্তিও প্রকাশ করেন সমাজ মাধ্যমে।

রাই-অনির্বাণের দাম্পত্যের টানাপোড়েন, সন্তান আগমন, ভুল বোঝাবুঝি— সবই ছিল এক দীর্ঘ আবেগের পথচলা। কিন্তু এই যাত্রাপথে বারবার মনে হয়েছে, গল্পটা যেন বারবার এক জায়গায় ফিরে ফিরে আসছে। তাই শেষমেষ যখন মিল হল, তখন তা আর নতুন কিছু মনে হয়নি। দর্শকদের অনেকে মন্তব্য করেছেন, এই জুটির শেষ দৃশ্য যেন মাত্রাতিরিক্ত আবেগঘন হয়ে পড়েছিল, যা চিত্রনাট্যের ভারসাম্য কিছুটা নষ্ট করেছে।

অন্যদিকে, স্রোত-সার্থকের সম্পর্কেও আবেগ ছিল, ছিল বাস্তবতা আর আন্তরিকতা। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, ধারাবাহিকের অন্তিম পর্বে এই জুটির মিলনকে ঠিকঠাকভাবে তুলে ধরা হয়নি বলেই অভিযোগ উঠেছে। কেউ কেউ লিখেছেন, “শেষ পর্বে যেন তাদের গুরুত্ব একেবারে কমে গিয়েছিল!” অনুরাগীদের আশা ছিল, তিনটি জুটিকেই একসঙ্গে শেষ মুহূর্তে দেখানো হবে।

যেখানে থাকবে একসঙ্গে থাকা, ক্ষমা, আর এক নতুন সূচনা— কিন্তু সেটা অধরাই থেকে গেল। তবে ধারাবাহিকের এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ছিল নিলু, যার ট্র্যাজেডি ও আত্মবিশ্বাসের লড়াই সকলের মনে দাগ কেটেছে। শেষে নিলুর চরিত্রে যে বদল এসেছে, তা অনেককেই অনুপ্রাণিত করেছে। একসময়ের ভেঙে পড়া, দিশাহীন নিলু আজ নতুন পরিবার গড়ে তুলেছে ক্রান্তির সঙ্গে, নিজের প্রিয়জনদের থেকে দূরে থাকলেও সে একা নয়।

আরও পড়ুনঃ জন্মদিনে মায়ের স্মৃতিতে ডুব, বৃদ্ধাশ্রমেই কাটালেন কৌশাম্বি! কোনও আড়ম্বর নয়, কেক কাটলেন প্রবীণদের সঙ্গে! জন্মদিনে অন্যরকম আবেগে টলি-অভিনেত্রী! মন ছুঁল নেটিজেনদের

বরং তার চরিত্র যেন শক্তি ও স্থিরতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। শেষ পর্বে দেখা গেল নীলু অন্তঃসত্ত্বা। সব মিলিয়ে, ‘মিঠিঝোরা’র যাত্রা শেষ হল মিলেমিশে থাকা কিছু আবেগ, কিছু অসম্পূর্ণতা আর কিছু অপ্রাপ্তি নিয়ে। প্রত্যাশা ছিল বেশি, প্রাপ্তি কিছুটা কম। কেউ খুশি, কেউ হতাশ। কিন্তু এতটুকু বলাই যায়—এই ধারাবাহিক কিছু চরিত্রকে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ করে তুলেছিল। তাই তার বিদায়েও থেকে গেল একরাশ স্নেহ, একরাশ অভিমান।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।