জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

নিরুদ্দেশ ‘মিঠাই’ সৌমিতৃষা! সাত মাস ধরে নেই পর্দায়, নেই সোশ্যাল মিডিয়াতেও! কোথায় হারিয়ে গেলেন অভিনেত্রী? ভক্তমহলে উদ্বেগ চরমে, নেপথ্যে কী কারণ?

নিরুদ্দেশ সবার আদরের ‘মিঠাই’ সৌমিতৃষা কুন্ডু (Soumitrisha Kundu) ! ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দা, সেখান থেকে ওটিটি—সাফল্যের পথ যেন রূপকথার মতোই ছিল তাঁর। ‘মিঠাই’ (Mithai) ধারাবাহিক তাঁকে পৌঁছে দেয় ঘরে ঘরে, টিআরপি তালিকার একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে ওঠেন তিনি। এরপর দেবের বিপরীতে বড়পর্দায় আত্মপ্রকাশ ‘প্রধান’ ছবিতে। পরবর্তীতে ওয়েব সিরিজ ‘কালরাত্রি’তেও নজর কেড়েছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন সবকিছু থমকে গেল! কোথায় গেলেন (Missing) সৌমিতৃষা?

গত সাত মাস ধরে ক্যামেরার সামনে তাঁকে দেখা যাচ্ছে না। শেষবার গত বছরের ডিসেম্বরে পর্দায় দেখা মিলেছিল তাঁর। তারপর থেকে না ধারাবাহিকে, না সিনেমায়, না কোনও অ্যাওয়ার্ড শো—একেবারেই অন্তর্ধান। এমনকি টলিউডের কোনও জমকালো ইভেন্টেও দেখা যাচ্ছে না অভিনেত্রীকে! তাঁর এই হঠাৎ অন্তর্ধান নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই দর্শকমহলে। কেউ বলছেন বিশ্রামে আছেন, কেউ আবার উদ্বেগে ভুগছেন।

সমাজ মাধ্যমেও কার্যত নিরব তিনি। গত ৫ এপ্রিলের পর থেকে ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুকে একটিও পোস্ট করেননি সৌমিতৃষা। যেখানে অন্য তারকারা প্রতিদিনই নিজেদের আপডেট দিতে ব্যস্ত, সেখানে এমন দীর্ঘ নিস্তব্ধতা বিস্মিত করেছে নেটিজেনদের। মাঝখানে অবশ্য একটি ম্যাট্রিমোনিয়াল বিজ্ঞাপনে তাঁকে দেখা গিয়েছিল, তবে সেটিও ছিল ক্ষণস্থায়ী ঝলক।

একাংশ বলছেন, অভিনেত্রী নাকি অসুস্থ। শোনা যাচ্ছে কিডনিতে পাথরের সমস্যা নিয়ে ভুগছিলেন তিনি। পাশাপাশি রয়েছে ব্যক্তিগত কিছু জটিলতাও, যেগুলি তিনি এখনই জনসমক্ষে আনতে চান না। এই সব কারণ মিলিয়ে হয়তো আপাতত ক্যামেরা থেকে দূরে থাকাই বেছে নিয়েছেন তিনি। যদিও এ বিষয়ে তাঁর তরফে কোনও বিবৃতি এখনও আসেনি।

আরও পড়ুনঃ কাঁধে সামান্য ব্যথা, তারপরই একের পর এক ধাক্কা! দীপিকার শরীরে একসঙ্গে দুই রোগের ছায়া!

‘কালরাত্রি’র নতুন পর্ব শুরুর ঘোষণা হলেও, আদৌ শুটিং শুরু হয়েছে কি না, সে খবর অধরাই। দর্শকদের প্রশ্ন, সৌমিতৃষাকে কি আবার ছোটপর্দায় দেখা যাবে? না কি বড়পর্দা বা ওটিটির জন্যই তৈরি করছেন নিজেকে? এই সব প্রশ্নের উত্তর ভবিষ্যতের গর্ভে। আপাতত যা সত্যি—সেটা হল, সৌমিতৃষা কুন্ডু বর্তমানে টলিপাড়ার ‘নিরুদ্দেশ’ নায়িকা।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।