জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

টলিপাড়ায় আবারও সম্পর্ক ভাঙনের সুর! সব কিছু থাকা সত্ত্বেও শেষমেশ আলাদা পথ, স্বামীকে ছাড়লেন বাঙালি অভিনেত্রী

টেলিপাড়ার পরিচিত মুখ তিনি। বহু ধারাবাহিকে অভিনয় করে মুগ্ধ করেছেন দর্শকদের। ছোটপর্দায় তাঁর উপস্থিতি মানেই ভরসাযোগ্য অভিনয়। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনের পর্দার পেছনে যে গল্পটা চলছে, সেটা খুব কম জনই জানত। বছরের পর বছর ধরে চলা একটি সম্পর্ক, আর সেই সম্পর্কেই এবার আঁচড় পড়ল।

একসময় যাঁকে ঘিরেই ঘর বেঁধেছিলেন, আজ তিনি আর সৌমি ব্যানার্জীর জীবনের অংশ নন। হ্যাঁ, এই মুহূর্তে টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সৌমি ব্যানার্জী তাঁর দাম্পত্যজীবনের পরিণতির কথা নিজেই স্বীকার করেছেন। আপাতত একমাত্র কন্যাকে নিয়ে একাই পথ চলছেন তিনি। তবে শুধু আলাদা হয়ে নয়, নিজের জীবনকে নতুন করে গুছিয়ে নিচ্ছেন অভিনেত্রী। কিন্তু কীভাবে এত বছরের সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত আইনি বিচ্ছেদে গিয়ে পৌঁছল?

অল্প বয়সেই বিয়ে করেছিলেন সৌমি। প্রথমদিকে ছিল সুখেই সংসার। মাঝেমধ্যে স্বামীর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করতেন তিনি, যা দেখে অনেকেই মনে করতেন টেলিপাড়ার আদর্শ দম্পতিদের মধ্যে একজন তিনি। কিন্তু বাস্তব জীবনে অনেকেই জানতেন না, সৌমি আসলে এক কন্যাসন্তানের মা। একদিকে সংসার, অন্যদিকে অভিনয়—দু’দিকই সামলাতে চেয়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু ধীরে ধীরে যেন চিড় ধরতে শুরু করে সম্পর্কে।

সম্প্রতি আইনি বিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়েছে সৌমি ও তাঁর স্বামীর মধ্যে। অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছেন, “মেয়ের দায়িত্ব তো প্রথম থেকেই আমার উপর ছিল। শুধু এখন আইনিভাবে নিশ্চিত হলাম।” বর্তমানে কন্যাকে নিজের বাবা-মায়ের কাছে রেখে কলকাতায় একাই থাকছেন সৌমি। কারণ পেশাগত প্রয়োজনে শহরেই তার বাস। নতুন করে নিজের সংসার সাজিয়েছেন নিজের মতো করে।

‘মা দুর্গা’ ধারাবাহিক দিয়ে টেলিপর্দায় ডেবিউ করেছিলেন সৌমি প্রায় এক দশক আগে। এরপর একে একে একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে দেখা গেছে তাঁকে। শেষবার তিনি ছিলেন ‘আকাশহাটের প্রথম কদমফুল’ ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে। বিচ্ছেদের পর এখন নিজের কেরিয়ার ও জীবনের নতুন অধ্যায় গুছিয়ে নিতে ব্যস্ত অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “সংসার করতে ভালোবাসি, কিন্তু এবার বুঝেছি, নিজের পায়ে দাঁড়ানো কতটা প্রয়োজন।”

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।