দুর্গাপুজোর আগমনী হাওয়ায় ইতিমধ্যেই সাজ সাজ রব বাংলার আকাশে। শহরের রাস্তায়, পাড়ায়, মণ্ডপে আলো ঝলমল করে উঠছে উৎসবের আমেজ। ঢাকের শব্দ আর সাদা মেঘের খেলা যেন বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে, মা দুর্গা আসছেন মহিষাসুর বধ করতে, শুরু হতে চলেছে বছরের সবচেয়ে বড় উৎসব।
যত দিন ঘনিয়ে আসছে, ততই কলকাতা আর বঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে উদ্বোধন হয়ে যাচ্ছে একের পর এক পুজোমণ্ডপ। মানুষ এখনই ঠাকুর দেখতে বেরোচ্ছেন, সেলফি তুলছেন, আড্ডায় জমাচ্ছেন আনন্দ। তবে মূল পূজা শুরু হবে ষষ্ঠীর দিন ভোরে বোধনের সঙ্গে। সেই সকাল থেকেই দেবী আরাধনা শুরু, আর পুজোর আমেজ ছড়িয়ে পড়বে ঘরে ঘরে।
এই কয়েকটা দিনে বয়স, পরিচয়, পেশা বা ভেদাভেদ ভুলে মানুষ একে অন্যের সঙ্গে মিশে যান। রঙিন আলোর রোশনাই, স্ট্রিট ফুডের গন্ধ আর ঢাকের তালে মানুষ মেতে ওঠেন। কিন্তু শহরের এক কোণে রয়েছেন কিছু মানুষ, যাদের কাছে উৎসব যেন কেবল বাইরের শব্দ আর ভিড়ের ছবি—বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দারা। পরিবারহীন, জীবনসায়াহ্নে দাঁড়িয়ে থাকা এই মানুষগুলো প্রায়শই বঞ্চিত থেকে যান উৎসবের আনন্দ থেকে।
তাদের একঘেয়েমি ভাঙতে এ বার চমকে দিল তারকা জুটি। ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ দেবাদৃতা বসু ও রাহুল দেব সম্প্রতি পৌঁছে গেলেন এক বৃদ্ধাশ্রমে। টেলিভিশনের তারকাদের সামনাসামনি দেখে আবাসিকদের চোখে এলো আলোর ঝলক। কেউ গল্পে মেতে উঠলেন, কেউ বা ভালোবাসায় ভরিয়ে দিলেন শিল্পীদের।
আরও পড়ুনঃ “হতে পারে গ্রামের মেয়ে, পড়াশোনা জানে না…কিন্তু খুব চালাক এই ‘কুসুম’!” “রাতুলকে বিয়ে করবে কেন, ওর তো টাকা নেই!” “বড়লোক আয়ুষ্মানকে ফাঁদে ফেলেছে, আর ছাড়ে!”— কুসুমের সিদ্ধান্তে বিতর্ক, স্বার্থপর বলছেন দর্শক! চরিত্র নিয়ে ক্ষুব্ধ দর্শকরা বলছে নায়িকাই খলনায়িকা!
দেবাদৃতা ও রাহুল শুধু দেখা করতে নয়, একঝাঁক উপহার নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। পুজোর আগে এই উদ্যোগে যেন ভরে উঠেছিল আবাসিকদের মন। দেবাদৃতা নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন—“আমার ভবিষ্যৎ।” সত্যিই তো, একদিন সবাই বুড়ো হবেন, তবে তখন সঙ্গ পেলে হাসিই হয় সবচেয়ে বড় উপহার। এই ক্ষুদ্র প্রয়াসে পুজোর আনন্দ ভাগ করে নিয়ে বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দাদের মুখে হাসি ফোটালেন তারা।