জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“আমি ‘ধূমকেতু’ দেখিনি, এই শুভশ্রীকে দেখার পর ওই শুভশ্রীকে মেনে নেওয়া কঠিন!” “একটা সত্যি ফাঁস করছি, ইউভান-ইয়ালীনি অভিনয় করতে চাইলে…”— সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে স্পষ্ট জবাব, নিজের পুরনো অভিনয় দেখতে এত অনীহা কেন? অভিনেত্রীর জানালেন বিস্ময়কর কারণ!

ব্যতিক্রমী চরিত্র দিয়ে বারবার নিজের জাত চিনিয়ে দিতে ভালোবাসেন তিনি। কখনও প্রেমে ভরপুর হাসিখুশি চরিত্রে, কখনও কঠোর নারীর ভূমিকায়, আবার কখনও এক বৃদ্ধা ‘ইন্দুবালা’র চোখ দিয়ে জীবন চেনাতে। ‘লেডি সুপারস্টার’ শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় (Subhashree Ganguly) দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন সেই শুরুর দিন থেকেই। এবার তাঁর রূপান্তরের সেই ধারায় যুক্ত হচ্ছে এক নতুন অধ্যায়– ‘অনুসন্ধান’ (Anusandhan)। অদিতি রায়ের পরিচালনায়, এই ওয়েব সিরিজে শুভশ্রী দেখা দেবেন এক সাহসী সাংবাদিক ‘অনুমিতা সেন’-এর ভূমিকায়।

অনুমিতা এমন এক চরিত্র, যিনি শুধু কলমের শক্তিতেই নয়, নিজের নীতিবোধ আর সাহসিকতার জোরে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ে যান। তিনি এমন এক মানুষ, যিনি পেশাকে দায়িত্বের মতো নয়, বরং সমাজের প্রতি কর্তব্য হিসেবে দেখেন। সিরিজের কাহিনি শুরু হবে এক অদ্ভুত ঘটনাকে কেন্দ্র করে— এক মহিলা সংশোধনাগারে হঠাৎ করেই একের পর এক বন্দিনীর অন্তঃসত্ত্বা হচ্ছে। এই অস্বাভাবিক ঘটনাকে সংবাদ হিসেবে কাভার করতে গিয়ে অনুমিতা টের পায়, ঘটনাটির আড়ালে লুকিয়ে আছে আরও গভীর অন্ধকার এক রহস্য, যা সমাজের চোখে ধরা পড়ে না।

এই অনুসন্ধান তখন আর শুধু একটি রিপোর্ট তৈরির কাজ থাকে না, বরং পরিণত হয় সত্যের খোঁজে এক ব্যক্তিগত যাত্রায়। এদিন এই সিরিজ নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে শুভশ্রীকে জানতে চাওয়া হয়, নিঃসন্দেহে এই বছরটা তার কাছে বিশেষ। ১০ বছরের অপেক্ষার পর অবশেষে ‘ধূমকেতু’ মুক্তির আলো দেখেছে, দেব-শুভশ্রীর জুটি দর্শকদের কাছে আবার বিপুল ভালবাসা কুড়িয়েছে। আজকের শুভশ্রীর কেমন লেগেছে বড়পর্দায় সেই ছোট এবং অপরিণত শুভশ্রীকে দেখে? ‘লেডি সুপারস্টার’ বললেন, “একটা সত্যি ফাঁস করছি, ধূমকেতু আমি এখনও দেখিনি।

তবে, গানগুলো যখন শুনছিলাম, দেখলাম সেই আমি আর আজকের আমির মধ্যে বিস্তর ফারাক। একটা সময় মনে হয়েছিল, মানুষ কীভাবে গ্রহণ করবে ওই শুভশ্রীকে আবার, এই শুভশ্রীকে দেখার পর!” এরপর প্রশ্ন আসে যে বড় হয়ে ইউভান আর ইয়ালিনী যদি অভিনেতা-অভিনেত্রী হতে চায়, সেক্ষেত্রে মা শুভশ্রীর কী সিদ্ধান্ত? অভিনেত্রী বলেন, “আমি কখনোই ওদের বাধা দেবো না। স্বপ্নটা ওদের আমরা শুধু সাহস জোগাতে পারি, ভরসা দিতে পারি। শেষ পর্যন্ত ওদের নিজেকেই জায়গাটা পড়ে নিতে হবে।”

শেষে জানতে চাওয়া হয়, ছোট থেকে বড় সবার সঙ্গেই কাজের অভিজ্ঞতা আছে কমবেশি অভিনেত্রী। সেই ক্ষেত্রে নতুন প্রজন্ম নাকি প্রাক্তন প্রজন্মের সঙ্গে কাজ করতে বেশি ভালো লাগে তাঁর? শুভশ্রী বললেন, “দুই প্রজন্মের সঙ্গেই কাজের অভিজ্ঞতা দু’রকম। প্রবীনদের মধ্যে রঞ্জিত জেঠুকে আমার খুব ভালো লাগে। ‘হানিমুন’ বলে একটা ছবির শুটিংয়ের জন্য আমাদের দু’জনকে দীর্ঘদিন আউটডোরে থাকতে হয়েছে। সেই সময় ‘শত্রু’ থেকে ‘নবাব’ বিভিন্ন ছবির অজানা গল্প আমার সঙ্গে করেছেন তিনি।

অন্যদিকে, ইন্দুবালা’তে নতুন প্রজন্মের অঙ্গনা আমার বিশেষ নজর কেড়েছে।” অবশেষে যেটা অস্বীকার করার জায়গা নেই যে, ‘অনুসন্ধান’-এর মাধ্যমে শুভশ্রী যেন আবারও প্রমাণ করলেন, চরিত্রের ভেতর দিয়ে নিজেকে নতুন করে খুঁজে পাওয়াই তাঁর সবচেয়ে বড় শক্তি। শুভশ্রীর চরিত্রটিও এখানে পেশাগত সীমানা ছাড়িয়ে এক মানবিক মুখ পেয়েছে। যেখানে কৌতূহল, সহানুভূতি ও ন্যায়বোধ মিলেমিশে তৈরি করে এক বাস্তব অথচ অনুপ্রেরণাদায়ক নারীচরিত্র। আপনারা কতটা উৎসাহী সাংবাদিক শুভশ্রীকে দেখার জন্য?

Piya Chanda