দিতিপ্রিয়া রায় ও জিতু কমলের মনোমালিন্য যে থামছে না, তা এখন টলিপাড়ার চর্চিত বিষয়। শোনা যাচ্ছে, ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিক নাকি এই ঝামেলার জন্য বন্ধ হওয়ার মুখে। এমনই খবরের মাঝেই উঠে এসেছে পুরনো কথা যে দিতিপ্রিয়া নাকি ‘রাণী রাসমণি’র সময়েও বাংলাদেশের নায়ক গাজী আব্দুন নূরের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন।
এই প্রসঙ্গে নূরকে প্রশ্ন করে একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যম। জানতে চাওয়া হয়, দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কেমন ছিল। বিশেষ করে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে কি কোনও সমস্যা হয়েছিল। নূর সরাসরি বলেন, কোনও দিন দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য হয়নি। তখন দিতিপ্রিয়া খুব ছোট ছিল, ঝামেলা হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। প্রেমের দৃশ্যেও কোনও অস্বস্তি ছিল না।

জিতু দিতিপ্রিয়ার ভাঙন নাকি নায়িকার মাকে ঘিরে। এমনও বলা হচ্ছে, ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শুটিংয়েও দিতিপ্রিয়ার মা নাকি উপস্থিত থাকেন, যা অন্য অভিনেতাদের অস্বস্তিতে ফেলে। এই প্রসঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে নূর বলেন, বাংলাদেশে একটি ছবির শুটিংয়ে তাঁর ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের সময় নায়িকার মা আর দিদি উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাতে তাঁর কোনও সমস্যা হয়নি, কারণ তিনি জানতেন এটা অভিনয়, বাস্তব নয়।
নূর আরও জানান, ‘রাণী রাসমণি’র সময় দিতিপ্রিয়া খুবই ছোট ছিল বলে তাঁর মা-ই সবসময় সঙ্গে থাকতেন। নূরের কথাও হত বেশি দিতিপ্রিয়ার মায়ের সঙ্গে। তিনি নূরকে নিজের ছেলের মতো দেখতেন। রান্না করা, দেখাশোনা করা, এদিক ওদিক যাতায়াত সবই করতেন। দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা কম হত, কারণ বয়স আর পছন্দ অপছন্দে ছিল বড় তফাৎ। তবু পর্দার রসায়নে কোনও সমস্যা হয়নি, বরং দু’জনের দৃশ্য আরও প্রাণবন্ত হত।
আরও পড়ুনঃ ‘ওর আজ ভালো হচ্ছে, আমার গতকাল ভালো ছিল…হিংসা হয় না, ভালোই লাগে!’ সমবয়সী দিতিপ্রিয়া টলিউডে দাপাচ্ছেন, নিজের অবস্থান নিয়ে তিথির নির্ভীক মন্তব্য! সহশিল্পীর সাফল্য ও নিজের সুযোগ না-পাওয়া নিয়ে ঈর্ষা বা তিক্ততা নেই, আছে প্রশংসা করার সাহস! প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটপাড়া!
এখন বাংলাদেশে থাকেন নূর। কলকাতায় বহুদিন আসেননি। পুরনো দিনের শুটিং স্মৃতিতে জানালেন কারও সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য ছিল না, সবাই তাঁকে খুব যত্ন করতেন। তাই দিতিপ্রিয়া জিতুর এই মনোমালিন্য তাঁর খারাপ লাগে। তিনি বলেন, দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে তাঁর ঝামেলার কথা সম্পূর্ণ মিথ্যে। এই গুজব ছড়াচ্ছে সম্ভবত তৃতীয় পক্ষ বা কিছু আগ্রহী অনুরাগী। নূরের মতে, এমন অনুরাগীর চেয়ে না থাকাই ভালো।
