জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

টিআরপি দিনদিন তলানিতে, এই সপ্তাহে স্লট হারিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারল না ‘জোয়ার ভাঁটা’! একঘেয়ে গল্প, উজির অযৌক্তিক আচরণ আর ঋষির ওপর অবিচারে, আগামী সপ্তাহে রেটিং আরও কমার আশঙ্কা!

এই সপ্তাহে জি বাংলার ‘জোয়ার ভাঁটা’র (Jowar Bhanta) টিআরপি নিয়ে যতটা আশা ছিল, বাস্তবে তার কাছাকাছিও পৌঁছতে পারেনি ধারাবাহিকটি। টিআরপি ৫.৭ পেয়েও মাত্র ০.৩ নম্বরের ব্যবধানে স্লট হারানোর বিষয়টা ভক্তদের মতোই চ্যানেলকেও হতাশ করেছে। বিশেষ করে আগের সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে, একেবারেই কোনও উন্নতি দেখা যায়নি। একই সংখ্যায় স্থির হয়ে থাকা মানে গল্প যে দর্শকদের মন ছুঁতে পারছে না, সেটা অনেকটাই স্পষ্ট। এখন যে ট্র্যাক চলছে, তাতে অনেকে ভাবছেন আগামী সপ্তাহে রেটিং আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

কারণ, দর্শকরা এই ধারাবাহিকের গল্পের পুনরাবৃত্তি আর জট পাকানো আচরণের ওপর বিরক্তি প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। নিরাশার বড় কারণ হচ্ছে, যেসব চরিত্রদের ওপর ভরসা রেখে গল্প এগোনোর কথা, তারাই বারবার এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যা দেখা কঠিন হয়ে উঠছে। বিশেষ করে উজি-নিশার সাম্প্রতিক কাজকর্ম দর্শকদের মধ্যে রীতিমতো অসন্তোষ তৈরি করেছে। ঋষি যাকে সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করে, যে উজি সবসময় নিরীহ মুখে ঘুরে বেড়ায় অথচ আড়ালে ছু’রি মা’রার ফন্দি করে!

এতে দর্শকদের অনেকেই লিখছেন, ‘হিরোইন হয়ে যদি এমন কাজ করে, তাহলে ভিলেন আর লাগবে না!’ গল্পের আরও একটি বড় দুর্বলতা হলো, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। বারবার ভুল বোঝাবুঝি, একই চরিত্রকে ভুল পথে চালিত করা আর একই মানুষের ক্ষতিই যেন চক্রাকারে চলছে। ঋষির বোন আর মেসোকে নিয়ে যে অশান্তি চলছিল, সেটা এখন আরও জটিল হয়ে উঠেছে উজির ভুল সিদ্ধান্তের কারণে। মেসোর ভুলকাজের পরও যে তিনি প্রায় শাস্তি ছাড়াই রেহাই পেয়ে গেলেন, তাতে অনেকে বিস্মিত হচ্ছেন।

উজির উপর ভরসা করে থাকা ঋষিকে ঠকে যেতে দেখতে দর্শকদেরই এবার অস্বস্তি হচ্ছে! একটি চরিত্রকে বারবার একই যন্ত্রণার মধ্যে ফেলে রাখা, এটা গল্পকে এগোতে দিচ্ছে না বরং আটকে রাখছে। সবচেয়ে বড় ধাক্কা এসেছে ঋষির ডিজিটাল লকার থেকে টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায়। সারাজীবনের পরিশ্রম ও সঞ্চয় যেভাবে মুহূর্তে উবে গেল আর সেই ঘটনায় উজির সাহায্যই নিশাকে সুযোগ করে দিল, এটা অনেকের কাছে আর যাই হোক ন্যায্য মনে হয়নি। একজন দর্শক যেমন লিখেছেন, “ঋষি অত্যন্ত ভালো।

নিষ্পাপ মানুষটার ওপরই কেন বারবার অন্যায়ের বোঝা চাপানো হচ্ছে?” এই প্রশ্নটাই এখন বহু দর্শকের মনে। চরিত্রের প্রতি সহানুভূতি তৈরি হলেও একই সঙ্গে তাদের বিরক্তিও বাড়ছে। এখন দেখার বিষয়, নির্মাতারা এই ক্ষোভ ও হতাশা কতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখেন এবং গল্পে কোনও পরিবর্তন আনেন কি না। কারণ দর্শকদের একটা বড় অংশ ইতিমধ্যেই বলছেন, “উজি যদি এভাবে বারবার ভুল সিদ্ধান্ত নিতে থাকে, আর ঋষিকে অবহেলা করতেই থাকে, তাহলে চরিত্রটিকে আর হিরোইন বলা যাবে না।”

Piya Chanda