জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘ঋষি নির্দোষ জেনেও কি সবকিছু ফেরত দেওয়া যেত না?’ ‘ভেবেছিলাম এবার বদলাবে উজি, কিন্তু দিদি ভক্তই থেকে গেল!’ দর্শকদের বিশ্বাস ভা’ঙল উজি, ‘জোয়ার ভাঁটা’র নতুন পর্বে ক্ষু’ব্ধ দর্শক!

জি বাংলার ধারাবাহিক ‘জোয়ার ভাঁটা’ (Jowar Bhanta) শুরু থেকেই ধীরে চলা গল্পের জন্য টিআরপি তালিকায় খুব বড় সাফল্য না পেলেও, একটা নির্দিষ্ট অংশের দর্শকদের কাছে বেশ প্রিয় হয়ে উঠেছে। শ্রুতি দাস ও আরাত্রিকা মাইতির যুগলবন্দিতে দুই বোনের জটিল সম্পর্ক, প্রতিশোধ আর নৈতিক দ্বন্দ্ব মিশে তৈরি হয়েছে আলাদা একটা আবহ। ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক প্রোমো দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন যে এবার হয়তো গল্পটা সত্যিই নতুন মোড় নেবে আর উজি নিজের অবস্থান বদলাবে। কিন্তু সম্প্রচারিত পর্বের পর দর্শকদের প্রতিক্রিয়ায় বোঝা যাচ্ছে, প্রত্যাশা আর বাস্তবের ফারাকটা বেশ বড়!

গল্পের কেন্দ্রে থাকা উজি আর নিশার সম্পর্ক এখন আর শুধু বোনের টানেই আটকে নেই, সেখানে ঢুকে পড়েছে আদর্শের সংঘাত। নিশা এখনও বাবার মৃ’ত্যুর বদলার আগুনে জ্বলছে আর উজি ধীরে ধীরে বুঝতে শিখছে যে যাকে শত্রু ভেবে এতদিন সবটা সাজানো হয়েছিল, সেই ঋষি আদৌ দোষী নয়! ঋষির প্রতি এই বদলানো দৃষ্টিভঙ্গিই উজির চরিত্রে নতুন স্তর যোগ করেছে। বাড়িতে নারায়ণ পুজো, বাইরে পুলিশের গ্রেপ্তারের হুমকি আর এই দুই চাপের মাঝেই উজি প্রতিজ্ঞা করেছিল, ঋষিকে সে জেলে যেতে দেবে না।

প্রোমোতে যেভাবে দেখানো হয়েছিল, তাতে দর্শকদের ধারণা হয়েছিল উজি পুরো টাকাটা এবং জরুরি নথিপত্র ফিরিয়ে দেবে। এমনকি নিশার মুখে সেই ইঙ্গিতপূর্ণ সংলাপও শোনা গিয়েছিল। কিন্তু মূল পর্বে দেখা গেল অন্য ছবি। উজি পুরো অর্থ বা নথি ফেরত না দিয়ে কেবল ঋষির জরুরি প্রয়োজন অনুযায়ী ১৫ কোটি টাকা ট্রান্সফার করেছে! বাকি টাকা আর কাগজপত্র নিশার অ্যাকাউন্টেই রেখে দেয় উজি, যা সে হয়তো কোনও অন্যায় কাজে ব্যবহার করবে। এই সিদ্ধান্তটাই দর্শকদের হজম হয়নি।

সমাজ মাধ্যমে অনেকেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, উজি যখন বুঝে ফেলেছে ঋষি নির্দোষ, তখন অর্ধেক সত্যে থেমে যাওয়ার মানে কী? শুধু পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য টাকা ফেরানো আর ন্যায়বোধ থেকে সব কিছু ঠিক করা, এই দুয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে। দর্শকদের চোখে উজি এখানে আবারও দিদির অন্যায়ের পাশে দাঁড়াল। ঋষি ভালো হোক বা খারাপ, উজির কাছে সে যেন এখনও শত্রুই রয়ে গেল! এই ধারণাই জোরালো হয়েছে আবারও।

এর মধ্যেই নিশার ডাকাতি করা গয়না নিয়ে নতুন বিপদের ইঙ্গিত মিলেছে। এতদিন লুকিয়ে রাখা সেই গয়না বিক্রি করতে গিয়ে সে চোরাবাজারে যেতেই, ছদ্মবেশে অফিসার জিৎ বসুর সামনে পড়বে। এই ট্র্যাক গল্পে নতুন টান আনছে ঠিকই, কিন্তু দর্শকদের মন এখন অন্য জায়গায় আটকে। তাঁদের কাছে প্রশ্ন একটাই, ‘উজি কি আদৌ সত্যের পথে হাঁটছে, নাকি প্রয়োজনের সময় শুধু নিজের মতো করে সত্যকে বেছে নিচ্ছে?’ এই দ্বন্দ্বই আপাতত ‘জোয়ার ভাঁটা’র গল্পকে ঘিরে সবচেয়ে বেশি আলোচনা তৈরি করেছে।

Piya Chanda