জি বাংলার ‘জোয়ার ভাঁটা’ (Jowar Bhanta) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, ঋষি আসানসোলের ভিত পুজোর জন্য নিশাকে নিমন্ত্রণ করতে যায় উজিকে সঙ্গে নিয়ে। সকাল সকাল ঋষিকে দেখে নিশা এমনিতেই মনে মনে রেগে যায়, তার উপরে ঋষি ভিত পুজোর কথাটা বলতেই নিশার মনের মধ্যে যেন আগুন জ্বলে উঠে। ঋষি জানায়, হরিপ্রসাদ মিত্রের জমিটাতে সে মেগা সিটি বানাবে। মধ্যবিত্তদের জন্য কম খরচে আবাসন তৈরি করবে, ইত্যাদি।
সব কিছু শুনে নিশা যাতে উত্তেজিত না হয়ে যায়, তাই উজি শক্ত করে হাতটা চেপে ধরে দিদির। এদিকে ঋষি আরও বলে যে নিশা যেহেতু দিল্লিতে বড় হয়েছে, তাই আসানসোলে গেলে তার অন্য রকমের অভিজ্ঞতা হবে। হরিপ্রসাদ মিত্রের সঙ্গেও নিশার আলাপ করাবে বলে ঋষি। নিশা যে আসলেই হরিপ্রসাদ মিত্রের মেয়ে আর আসানসোলেই বাড়ি ছিল তাঁর, এটা এখনও ঋষির অজানা। তাই সে প্রশংসা করতে থাকে হরিপ্রসাদের।

তবে, নিশার মনে বাবার মৃ’ত্যুর ক্ষত এখনও তাজা। ঋষির প্রতি প্রতিশোধ নেওয়ার তাগিদ তাঁর যেন আরও বেড়ে যায় এবার। ঋষি সেখান থেকে বেরোতেই নিশার বাবার নামে চিৎকার করে ওঠে, উজি পরিস্থিতি সামাল দিতে দিদিকে জড়িয়ে ধরে। ওদিকে আচমকা চিৎকার শুনে ঋষি ফেরত আসতে যাবে, এমন সময় একটা জরুরী ফোন আসায় সে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। উজি খেয়াল করে, রাগের মাথায় দিদি নিজেকে আহত করে ফেলেছে।
নিশার হাত কেটে র’ক্ত পড়ছে দেখে উজি ওষুধ লাগিয়ে দিতে দিতে বলে যে, ঋষির তাদের বাবার পরিণতির বিষয় কিচ্ছু জানে না। উল্টে সে ভাবছে তাদের বাবা বেঁচে আছেন, কিন্তু শঙ্খ আর মেসোর মুখে তাদের বাবার নাম শুনে ভয়ের ছাপ দেখেছে উজি। তাই সে মনে করে, ঋষি নয় বরং শঙ্খ বা মেসো যুক্ত তাদের বাবার মৃ’ত্যুর সঙ্গে। কিন্তু নিশা কিছুতেই বিশ্বাস করে না বোনের একটা কথা।
আরও পড়ুনঃ “পায়ের নীচের মাটি শক্ত করাটাই একমাত্র লক্ষ্য, প্রেম–বিয়ে নিয়ে সময় নষ্ট করার সময় নেই”—সমাজমাধ্যমের প্রেম-ভাঙা জল্পনায় সরাসরি মুখ খুললেন আরাত্রিকা মাইতি, পুরনো গুঞ্জন নিয়ে স্পষ্ট বার্তা অভিনেত্রীর!
তার কাছে এখনও ঋষিই সেই প্রতারক, যে তাদের বাবাকে ঠকিয়ে জমি নিয়ে নিয়েছে আর সেই ধাক্কায় তাদের বাবা মা’রা গেছে। উল্টে নিশা উজিকে বলে যে, নিজের স্বামীকে বাঁচাতে সে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। নিশা ঠিক করে কিছুতেই সে ভিত পুজো হতে দেবে না, আর উজি বাধা দিলে তাকেও শেষ করে দিতে পারে সে! দিদির কথা ভাবতে ভাবতে উজি রাস্তায় একটুর জন্য দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায়।
কিছু মানুষ তাকে একটা জায়গায় বসায় আর একজন পরিচিত ঋষির ভাইকে খবরটা দেয়। তারপর খেয়া ঋষিকে সবটা জানাতে সে ছুটে যায় উজির কাছে। ততক্ষণে ভিড় দেখে কিছু পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। তার মধ্যে একজন উজিকে দেখে চিনতে পারে বলে, একবার ঋষির নামে অভিযোগে করতে এসেছিল সে। ঋষি এরপর উজিকে নিয়ে বাড়ি ফেরে। ওদিকে পুলিশটা শঙ্খকে ফোন করে বলে, সে হরিপ্রসাদের মেয়েকে দেখেছে!
