জি বাংলার নতুন ধারাবাহিক ‘তারে ধরি ধরি মনে করি’ (Tare Dhori Dhori Mone Kori) শুরুর পর থেকেই টেলিপাড়ায় এক আলাদা উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। আধ্যাত্মিক আবহ, প্রেমের ছোঁয়া আর ব্যতিক্রমী উপস্থাপনার মেলবন্ধনই যেন দর্শকদের আকর্ষণের মূল কারণ। চলতি সপ্তাহের টিআরপি তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসে ধারাবাহিকটি দেখিয়ে দিয়েছে, প্রথম থেকেই দর্শক কতটা এই গল্পের প্রতি আবেগী হয়ে উঠছেন। কেউ বলছেন নতুনত্বই এর সাফল্য, কারও মতে পল্লবী-বিশ্বরূপের রসায়নই সেরা চমক।
শুটিংয়ের মাঝে সম্প্রতি আউটডোর থেকে উঠে এসেছে এক অন্যরকম মুহূর্ত। মন্দিরে চলা শুটিংয়ের জন্য তৈরি আধ্যাত্মিক পরিবেশে বিশ্বরূপ জানালেন, চরিত্রের আবহের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই তাঁরা নিরামিষ ভোজন করছেন। এর মাঝেই পল্লবী জানতে চান খাবারের মেনু কী? আর তাতে বিশ্বরূপ জানান, ‘খিচুড়ি আর আলুর দম’। সেই খবরের নাম শুনেই নায়িকার মুখে যে হাসি ফুটে ওঠে, তা চোখ এড়ায়নি কারও। অফস্ক্রিন এই সহজ মুহূর্তগুলোই হয়তো চরিত্রগুলোর প্রতি দর্শকের টান আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
তবে, বলতেই হয় যে আধ্যাত্বিক পটভূমিতে নির্মিত ধারাবাহিকে হলেও শুটিংয়ে নিরামিষ খাবার ব্যাপারটা কিন্তু একদম অভিনব। আর ঈশ্বরের আখ্যান তুলে ধরতে গেলে তো তাঁর কাছাকাছিও যাওয়া প্রয়োজন। শুধু শারীরিক ভাবেই নয়, তা হতে হবে মানসিক ভাবেও! সেই জন্য সাত্ত্বিক ভোজনের থেকে ভালো আর কী বা হতে পারে? অন্যদিকে, পল্লবীর অভিনয়যাত্রা যেন এই ধারাবাহিকের হাত ধরেই নতুন পথে হাঁটছে। এর আগে তাঁকে যেমন চরিত্রে দেখা গেছে, এবার তার সম্পূর্ণ আলাদা রূপ তুলে ধরছেন তিনি।
একদিকে রূপমঞ্জুরির আধ্যাত্মিক কোমলতা, অন্যদিকে দিতির আধুনিক নির্ভার জীবন, এই দুই বিপরীত চরিত্র একসঙ্গে সামলাতে গিয়ে যেন নিজেকেই নতুন করে আবিষ্কার করছেন অভিনেত্রী। বিশ্বরূপের মন্তব্যও নজর কেড়েছে অনেকের। তাঁর মতে, শুধুই অভিনয় নয়। এই ধারাবাহিকে তাঁদের কাজের দায়বদ্ধতাও অনেক বেশি। কারণ সবাই চান এই ভিন্ন ধরনের গল্পটি দীর্ঘদিন টিকে থাকুক। বাংলা টেলিভিশনে নতুন ধারার স্বাদ দিতে তারা যে আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করছেন, সেই প্রতিশ্রুতি তাঁর কথায় স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।
আরও পড়ুনঃ “বড়দিন নয়, সারা বছরই বাবা আমার সান্তাক্লজ…বাবার শিক্ষাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার!” রঞ্জিত মল্লিকের শেখানো সংযম আর শৃঙ্খলাতেই সফল মেয়ে কোয়েল মল্লিক! বাবার মূল্যবোধকেই আজও আঁকড়ে ধরে আছেন তিনি!
এবারের টিআরপি যেন সেই পরিশ্রমের প্রাথমিক স্বীকৃতি। সব মিলিয়ে, আধ্যাত্মিক পরিবেশ থেকে গল্পের গতি এবং চরিত্রের মানসিক ওঠানামা এবং বাস্তবের সঙ্গে মিলেমিশে থাকা অফস্ক্রিন মুহূর্ত, সবটাই মিলিয়ে দর্শকের কাছে ধারাবাহিকটি হয়ে উঠছে আপন। শুটিংয়ে নিরামিষ ভোজন যেমন ব্যতিক্রমী, তেমনই রূপমঞ্জুরি-দিতি রূপে পল্লবীর যাত্রা এক বিশেষ কৌতূহল তৈরি করছে। সামনে গল্প কোন পথে এগোয়, তা নিয়ে এখনই অপেক্ষায় দর্শক।
