Connect with us

    Bangla Serial

    এই তীব্র গরমে ফুটপাথে বসে ভিক্ষা করছেন অভিনেত্রী চান্দ্রেয়ী ঘোষ! কাণ্ডটা ঠিক কী? মুখ খুললেন স্বয়ং ‘শৈল মা’

    Published

    on

    বর্তমানে জি বাংলার পর্দায় অন্যতম চর্চিত ধারাবাহিক হল জি বাংলার ধারাবাহিক ‘গৌরী এলো’। ভক্তিমূলক এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। চলতি সপ্তাহেও টিআরপি তালিকায় কামাল করেছে ঈশান-গৌরীর ‘গৌরী এলো।’ ধারাবাহিক জগদ্ধাত্রীকে হারিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে গৌরী এলো।

    এই ধারাবাহিকে খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করছিলেন বাংলা টেলিভিশনের পোর খাওয়া অভিনেত্রী চান্দ্রেয়ী ঘোষ। এই অভিনেত্রীর অভিনয় দক্ষতা নিয়ে নতুন করে বলার বোধহয় কিছুই আর নেই। অসম্ভব তুখোড় এই অভিনেত্রী। গৌরী এলো ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তার অপর কারণ চান্দ্রেয়ী।

    নিজের অসামান্য অভিনয় দক্ষতায় এই ধারাবাহিকে ভন্ড সাধিকা শৈলমায়ের চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলেছিলেন তিনি। তবে বর্তমানে স্মৃতিভ্রষ্ট শৈল মা। পরিণত হয়েছেন একজন ভিক্ষুকে। যাঁর মাথায় ছোট ছোট করে ছাটা চুল, পরনে ছেঁড়া শাড়ি মুখে কালি ঝুলি! এই তীব্র দাবদাহের মধ্যেই রাস্তায় ফুটপাতে বসে শুটিং করে চলেছেন বাংলা টেলিভিশনের এই দাপুটে অভিনেত্রী।

    সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, এই চরিত্রে অভিনয় করে বেশ মজাই পেয়েছেন তিনি। কারণ একজন অভিনয় শিল্পী হিসেবে তিনি চান বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে। ‌‌ আর তাই এমনতর চরিত্র পেয়ে বেশ মজা নিয়েই কাজ করছেন তিনি। অভিনেত্রীর কথায় দীর্ঘ অভিনয় জীবনে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। আর এই রকম চ্যালেঞ্জিং চরিত্রগুলোই তাঁকে বেশি করে আকৃষ্ট করে।

    এমনকি গৌরী এলো ধারাবাহিকে ভিক্ষুকের চরিত্রে তাঁর যে মেকআপ সেটা তিনি নিজেই করেছেন বলে জানিয়েছেন। মজা করে পর্দার শৈলমা অর্থাৎ অভিনেত্রী চান্দ্রেয়ী ঘোষ বলছেন, আমি সত্যিকারেই ভিক্ষুক সেজে পথে বসে দেখতে চাই একদিনে কত টাকা উপার্জন হয়।

    প্রসঙ্গত গৌরী এলো ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে মানুষ যা কর্ম করবে তার সেই কর্মফল সে একদিন না একদিন পাবে। এই যেমন শৈল মা একদিন গৌরী ঈশানকে মারার ষড়যন্ত্র করেছিল আর আজ সেই শৈলমা ভিক্ষুক হয়ে রাস্তায় নিজের জীবন কাটাচ্ছে। কর্মফলে কতটা বিশ্বাসী অভিনেত্রী চান্দ্রেয়ী ঘোষ? অভিনেত্রীর কথায়, তিনি ভীষণভাবে কর্মায় বিশ্বাসী। তিনি মনে করেন মানুষ যা করবে সেই ফল সে একদিন না একদিন ফিরে পাবে। আর তাই তিনি মনে করেন অন্যের উপর নির্ভর না করে অন্যের ক্ষতি না করে শুধুমাত্র নিজের কর্ম করে যাও তাহলেই হয়তো জীবনে চলার পথটা অনেক সহজ হয়ে উঠবে। যদিও তিনি বলেন এমন নয় যে কারোর উপর রাগ হবে না বা অভিমান হবে না কিন্তু সেটাকে সিংহাসনে না বসানোই উচিত বলে মনে করেন তিনি।