Bangla Serial

Jagaddhatri: আরও এক নতুন রহস্য! বৈরাগী বাড়ি থেকে অ্যান্টিক মূর্তি উধাও! ইতিহাসের কোন পাতা মেলে ধরবে ‘জগদ্ধাত্রী’?

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘জগদ্ধাত্রী’ (Jagaddhatri)। সেরা পাঁচের মধ্যে এই ধারাবাহিকের নাম থাকে। যদিও চলতি সপ্তাহে ধারাবাহিকটি এক থেকে চারে নেমে এসেছে। তাই বিশেষ চিন্তায় পড়েছে ‘জগদ্ধাত্রী’র গোটা টিম। যদিও ধারাবাহিকটি দর্শকদের একের পর এক ধামাকাদার পর্ব দিচ্ছে। প্রথমদিন থেকে পরিবারের সকলে স্বয়ম্ভুকে (Syawambhu) তাড়ানোর চেষ্টা করে চলেছে।

বৈদেহী (baidehi) তার কোম্পানির উত্তরসূরি হিসাবে নিজের ছেলে উৎসব (Utsab) কে দেখতে চায়। আর তাই মেহেন্দির সঙ্গে মিলে একের পর এক চক্রান্ত করে চলেছে তারা। অন্যদিকে কৌশিকী (Koushiki) নিজের কোম্পানি জগদ্ধাত্রীর হাতেই তুলে দিতে চায়। আমরা জানি, ধারাবাহিকের প্রধান মুখ্য চরিত্র জগদ্ধাত্রী ওরফে জ্যাস (Jyas)।

জ্যাস একজন পুলিশ অফিসার, যে একের পর এক রহস্য সমাধান করে চলেছে। জগদ্ধাত্রী যে জ্যাস, তা অনেকের কাছেই অজানা। আর এই জ্যাসকে সাহায্য করে তার স্বামী স্বয়ম্ভু। প্রথমদিন থেকে একের পর এক রহস্য সমাধান করে চলেছে জ্যাস। অন্যান্য ধারাবাহিকের থেকে এই ধারাবাহিকে নায়িকার চরিত্রেও রয়েছে এক অন্যরকমের ধাঁচ। ধারাবাহিকের অভিনেত্রী অঙ্কিতা মল্লিক অল্প সময়ের মধ্যেই দর্শকদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছেন।

এক অন্যধরণের গল্প নিয়ে শুরু হওয়া এই সিরিয়াল প্রথমদিন থেকেই টিআরপিতেও দারুণ ফলাফল করেছে ধারাবাহিক ‘জগদ্ধাত্রী’। এমনকি টানা কয়েক সপ্তাহে সেরা বাংলা সিরিয়ালের তকমা পেয়েছিল ‘জগদ্ধাত্রী’ ধারাবাহিক। গল্পে নায়িকার অ্যাকশনধর্মী প্লট দর্শকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। একজন গৃহিণীর পাশাপাশি জ্যাজ় হয়ে দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের পালন করে চলেছে ‘জগদ্ধাত্রী’।

এবার এক নতুন কেসের সমাধানের প্রস্তুতি নিচ্ছে জগদ্ধার্থী। বৈরাগী বাড়ি থেকে এক কৃষ্ণ মূর্তি চুরি হয়েছে। সেই মূর্তিটা এন্টিক মূর্তি বলেই মনে করছে জ্যাস। সেই মূর্তিতে লাগানো পাথরের দামও অনেক বলে মনে করছে সে। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ এলাকার এক রাজার বাড়িতে মূর্তিটা ছিল। বৈরাগী বাড়ির ইতিহাস আসলে অনেকটাই ইন্টারেস্টিং বলে মনে করছে জ্যাস। তাই ওই মূর্তি খুঁজে বের করা খুবই আবশ্যিক। কে বা কেন চুরি করল সেই মূর্তি? এবার কিভাবে জগদ্ধাত্রী এই রহস্যের সমাধান করবে?

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।