Bangla Serial

Sohag Jol: শেষের মুখে দাঁড়িয়ে হঠাৎ থমকালো সোহাগ জল! মাথা ঘুরে পড়ে গেল জুঁই? কী হবে এবার?

জি বাংলার পর্দায় সদ্য সমাপ্ত ধারাবাহিক মিঠাই। এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের মনে এমন প্রভাব বিস্তার করেছিল যে সেই প্রভাব থেকে মুক্ত হতে বোধ হয় বেশ কয়েকটা বছর লেগে যাবে এই ধারাবাহিকের অনুরাগীদের। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে শুধুমাত্র মিঠাই নয় জি বাংলার পর্দায় বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে আরও বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক।

আর এই ধারাবাহিক গুলির মধ্যে অন্যতম ছিল খেলনা বাড়ি, সোহাগ জল, ইচ্ছে পুতুল, মুকুট। এই প্রত্যেকটি ধারাবাহিকই নাকি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বন্ধের মুখ দেখতে চলেছে। যদিও বন্ধু হয়ে যাচ্ছে হানি বাফনা ও শ্বেতা ভট্টাচার্য অভিনীত ধারাবাহিক সোহাগ জল। যদিও দর্শকরা কটাক্ষ করে এই ধারাবাহিকটিকে পরকীয়া জল বলতেন। আসলে পরকীয়ার এক অন্য রকম মাত্রা এই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে। সৌজন্যে বেণী বৌদি নামক চরিত্রটি।

‘কার কাছে কই মনের কথা’ জি বাংলার পর্দায় আসন্ন এই ধারাবাহিকটির জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল সোহাগ জল ধারাবাহিকটি। দীর্ঘদিন ধরেই নিম্নমুখী টিআরপির জন্য এই ধারাবাহিকটির বন্ধ হওয়া প্রায় অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছিল। আর সেই জন্যই আগামীকাল অর্থাৎ ৩রা জুলাই অন্তিম পর্বের সম্প্রচার হতে চলেছে এই ধারাবাহিকটির। মাত্র ৭ মাসেই পথ চলা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সোহাগ জল ধারাবাহিকটির।

যমুনা ঢাকি ধারাবাহিকের ব্যাপক সফলতার পর সোহাগ জল নিয়ে আবারও জি বাংলার পর্দায় ফেরেন শ্বেতা। অন্যদিকে তাঁর প্রেমিক রুবেল দাস সাফল্যের সঙ্গে অভিনয় করছেন জি বাংলার অপর ধারাবাহিক নিম ফুলের মধুতে। সে যাই হোক কালের নিয়ম মেনে টিআরপি ব্যর্থতার দায় ঘাড়ে নিয়ে বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে কটাক্ষ-বিদ্ধ এই ধারাবাহিকটি।

এই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে সাম্যকে পুলিশ ধরেছে। সুস্থ স্বাভাবিক হয়েছে জুঁই ও শুভ্র সম্পর্ক। তাঁদের পরিবারে ফিরে এসেছে খুশি আনন্দ একে অপরের প্রতি পরস্পরিক ভালোবাসা। শুভ্র ও জুঁইয়ের অবদানকে স্বীকার করে নিয়েছেন শুভ্রর জেঠু। আর তাই তাঁদের জন্যই ছোট একটি পার্টির আয়োজন করেন তিনি। বেলুন দিয়ে সাজানো হয় বাড়ি। শুরু হয় কেক কাটার প্রস্তুতি। আরে কেক কেটে শুভ্র জুঁইয়ের মুখে তুলে দেওয়ার পরেই মাথা ঘুরে পড়ে যায় জুঁই। কী হল জুঁইয়ের? নতুন কোন‌ও চক্রান্ত? নাকি আসছে সুখবর? জানতে হলে দেখুন সোহাগ জল।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।