জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘ছোটবেলায় দিতিপ্রিয়াকে কোলে নিয়ে ঘুরেছি আমি’, ‘কোলে তুলে ঘোরানোর গল্প বলাটা যত সহজ, শুটিং সেটে সম্মান দেখানোটা ততটাই কঠিন!’– শৈশবের স্মৃতি টেনে, জিতুর অপেশাদারিত্ব নিয়ে ফের বিতর্ক উস্কে দিলেন দিতিপ্রিয়া!

জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ এখন পুরোপুরি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সিরিয়ালের নায়ক-নায়িকা জিতু কমল ও দিতিপ্রিয়া রায়ের সম্পর্ক নিয়ে নেটপাড়ায় চলছে তুমুল চর্চা। দিতিপ্রিয়ার অভিযোগ—জিতুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য দিতে তিনি স্বচ্ছন্দ নন, তাই তিনি সেটে ‘নো-টাচ’ পলিসি চালু করেছেন। পরিস্থিতি এতটাই ঘোলা যে ধারাবাহিকের ক্রিয়েটিভ টিমের কিছু সদস্য নাকি চাইছেন, জিতুই কাজ ছেড়ে দিন। এমন পরিস্থিতিতে নিজের বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন জিতু।

কিন্তু সময়টা সবসময় এমন ছিল না। সিরিয়াল শুরুর প্রথমদিকে দিতিপ্রিয়াই মজা করে বলেছিলেন এক পুরনো স্মৃতি—ছোটবেলায় নাকি জিতুর কোলে চড়ে ঘুরেছেন তিনি! তাঁদের আগের বাড়ির কয়েকটি বাড়ি পরে থাকতেন অভিনেতা। বয়সের ফারাক ১৫ বছর হলেও, সেই স্মৃতি শেয়ার করার সময় দিতিপ্রিয়ার গলায় ছিল নিষ্পাপ হাসি। আর এই অসম বয়সের প্রেমই ছিল আর্য ও অপর্ণার রসায়নের মূল USP। দর্শকও সেই অদ্ভুত সম্পর্ককেই মন দিয়ে দেখছিলেন।

jeetu-ditipriya-chirodini-tumi-je-amar-shooting-update-2025

তবে এখন সেই সম্পর্কেই যেন দানা বেঁধেছে বিস্ফোরণ। কয়েক মাস আগে দিতিপ্রিয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, জিতু তাঁকে নাকি কিছু অস্বস্তিকর মেসেজ করেছিলেন—AI-এডিটেড ঘনিষ্ঠ ভিডিও পাঠানো থেকে শুরু করে প্রেগন্যান্সি নিয়ে অযাচিত ‘ইয়ার্কি’—সবই নায়িকার অস্বস্তির কারণ। দিতিপ্রিয়ার দাবি, তিনি এই ধরনের কথাবার্তায় অভ্যস্ত নন, তাই একসঙ্গে দৃশ্য করাটাই তাঁর কাছে মানসিক চাপের।

প্রযোজনা সংস্থা তখন বিষয়টি চাপা রাখলেও, ঝড় থেমে থাকেনি। সম্প্রতি সেটে ফের অশান্তির খবর ছড়াতেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। শুটিং চলছে ঠিকই, তবে আর আগের মতো সহজ নয় কিছুই। জিতু সম্প্রতি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, পুরোপুরি সুস্থ নন। তবু নিজে থেকেই কাজ সামলাচ্ছেন। শনিবার দিতিপ্রিয়া দেরিতে আসলেও নিজেদের অংশের শট শেষ করেছেন দু’জনই—তবে আলাদা আলাদা।

আর এ সবের মাঝেই ফেসবুকে বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন জিতু। তাঁর দাবি—দিতিপ্রিয়ার পক্ষ থেকে নাকি বলা হচ্ছে তিনি মহিলা সহ-অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাজ করার যোগ্য নন, অসুস্থতার অভিনয় করছেন, হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ১০ ঘণ্টা শুটিং করাও নাকি ‘নাটক’। তিনি লেখেন, সব অভিযোগই তাঁকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে এবং এখন তিনি ভাবছেন—এভাবে কাজ করলে তাঁর আত্মসম্মান কোথায় দাঁড়াবে? তাই বাধ্য হয়েই তিনি “কঠোর সিদ্ধান্ত”-এর পথে হাঁটতে পারেন।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।